গোপালগঞ্জঃ জেলার কাশিয়ানী উপজেলার পারুলিয়া শরীফ পাড়ার বাসিন্দা মোঃ হাবিবুল্লাহ শরীফ এলাকা থেকে পালিয়ে গেছে। তার বাবার নাম এনায়েত শরীফ। তার বাবা একজন মাদ্রাসা শিক্ষক। তাকে আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা খুঁজছে বলে জানাগেছে।
তিনি তার ফেসবুক আইডিতে হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম-মহাসচিব মামুনুল হকের পক্ষে নানা মন্তব্য করা ছাড়াও তার বিপক্ষে যারা অবস্থান নিয়েছিল তাদেরকে নিয়ে নানা ধরনের বাজে মন্তব্য সম্বলিত ভিডিও করেন এবং তা ফেসবুকে পোষ্ট করেন।
ভিডিওটির কথাগুলো ছিল এমনঃ “আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ঐ ভিডিওর ভিতর আমরা দেখতে পেয়েছি, মুহতারাম মাওলানা মামুনুল হক সাহেব ও তার সেকেন্ড স্ত্রীর সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ আচরণকারী কয়েকজন সন্ত্রাস টেরোরিস্টকে। মাদার অফ মাফিয়া তাদেরকে পালন করে শুধুমাত্র সমাজটাকে ধ্বংস করার জন্য, অপকর্ম করে বিশৃঙ্খলা করে সহিংসতা চালিয়ে কিভাবে সমাজ তাকে ধ্বংস করা যায়, এজন্য তাদেরকে পালন করে মাদার অফ মাফিয়া।
তিনি তার ভিডিওতে বলেন, “হযরত মাওলানা মামুনুল হক সাহেব কিছু দিন তার বোরবোর লাগছিল। রিফ্রেশ হওয়ার জন্য তিনি তাঁর সেকেন্ড স্ত্রীকে নিয়ে সোনারগাঁ রিসোর্টে গিয়েছিলেন। তিনি তো মনে করেছিলেন স্বাধীন দেশে কে তার পিছু নেবে। কিন্তু এদেশে যে সন্ত্রাস বাহিনী রয়েছে, জঙ্গি বাহিনী রয়েছে এ খবর কে জানতো। সেখানে গিয়ে মামুনুল হক সাহেবকে তারা হেনস্ত করেছে, তাকে প্রশ্ন করেছে, তার আয়ের উৎস কি, কিভাবে এখানে আসতে পারেন। তারা জানেনা মামুনুল হক কে.? তোরা জানিস মামুনুল হক কে.? Are you know about Mamunul Haque.
মামুনুল হক সম্পর্কে তোদের কোন ধারণা আছে.?”
তিনি তার ৫মিনিটের ভিডিও বার্তায় বলেন,“মামুনুল হক এদেশের একজন খ্যাতনামা ব্যক্তিত্ব। মুক্তিযোদ্ধায় যারা অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন তার সন্তান, আজিজুল হক সাহেবের সন্তান। তোদের পরিবারে কোন মুক্তিযোদ্ধা আছে.? তোদের পরিবারের ছিল তামাল কামাল, উপযুক্ত ছেলে সন্তান ছিল, একটা ছেলে মুক্তিযোদ্ধায় আসেনি। তোদের কেউ মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেনি। তোদের নেতা, তোদের নেতা গলাবাজি করেছে শুধু, মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছে..? সে সিগারেট নিয়ে সিগারেটের পাইপসহ পাকিস্তানি কারাগারে বন্দি হয়ে আয়েশি জীবন যাপন করেছে শুধু। খবর নিয়েছে,,, খবর নিয়ে জানার চেষ্টা করেছে, বাঙালিরা কি করছে.. তুই মামুনুল হক সাহেবের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে প্রশ্ন তুলিশ? মামুনুল হক সাহেবকে তোর ভালো ভাবে জানা দরকার।
তিনি বলেন, তিনি (মামুনুল)একাধারে বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিস-এর চেয়ারম্যান, অর্থনীতিবিদ, রাজনীতিবিদ, সমাজ সংস্কারক, সমাজ বিজ্ঞানিক। তোরা জানিস মামুনুল হক সম্পর্কে------আরো নানা বক্তব্য দেন।
এ বিষয়ে কাশিয়ানীর পারুলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মকিমুল ইসলাম বলেন, এই ধরনের লোক আমাদের এলাকায় আগে ছিল না। হাবিবুল্লাহ আমাদের এলাকাকে একটি প্রশ্নবোধক এলাকার মধ্যে ফেললো। সে আগে মাদ্রাসায় লেখা-পড়া করতো। এখন কি করে তা তিনি বলতে পারেননি।
গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)মোঃ মনিরুল ইসলাম বলেন, সব তথ্যই তাদের কাছে আছে। হাবিবুল্লাহ শরীফকে তারা গ্রেফতারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে সে পলাতক রয়েছেন বলে জানান। তিনি তদন্তের স্বার্থে বিস্তারিত কিছু বলতে রাজি হননি।
আগামীনিউজ/এএস