সুবর্ণচরে লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও দ্বিগুণ বোরো ধান চাষ
মুজাহিদুল ইসলাম সোহেল, নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি প্রকাশিত: এপ্রিল ১৩, ২০২১, ০২:২৭ পিএম
ছবিঃ আগামী নিউজ
নোয়াখালীঃ জেলার সুবর্ণচরে লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও দ্বিগুণ বোরো ধান চাষ করেছেন স্থানীয় কৃষকরা। আবহাওয়া ও চাষের জমি উপযোগী হওয়ায় বাম্পার ফলনের স্বপ্ন দেখছেন এই অঞ্চলের প্রান্তিক চাষিরা। এবার কৃষি বিভাগের পরামর্শে লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি জমিতে বোরো ধানের চাষ করেছেন চাষিরা। বাজারে ধানের দাম ভালো পেলে লাভবান হতে পারবেন বলে মনে করছেন স্থানীয় কৃষকরা।
সুবর্ণচর কৃষি অধিদপ্তরের ভাষ্য মতে, সুবর্ণচরের কৃষকরা আগের বছরের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ পরিমাণ জমিতে বোরো ধানের চাষ করেছেন। স্থানীয় কৃষি বিভাগের পরামর্শ ও সহযোগিতায় কৃষকরা আরও বেশি উৎসাহ নিয়ে বোরো ধানের চাষ করেছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বাম্পার ফলনের আশা করছেন তারা।
সুবর্ণচরের ৮ ইউনিয়নের মধ্যে চরক্লার্কে চাষ হয়েছে প্রায় ৪ হাজার হেক্টর, মোহাম্মদ পুরে ১৮০০ হেক্টর, বাকী ৬ ইউনিয়নে চাষ হয়েছে ৫হাজার ২শত হেক্টর।
চরক্লার্কের কেরামত পুরে গ্রামের কৃষক এনায়েত উল্যাহ বলেন, কৃষি বিভাগে সহায়তায় বিনামূল্যে বীজ সংগ্রহ করে ৩০ একর জমিতে বোরো ধান চাষ করেছি। এ বছর ধানের দাম প্রতি কেজিতে ২৬ টাকা ধরে মণপ্রতি ১০৪০ টাকা সরকারি মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এর ফলে আমার মতো কৃষকরা লাভবান হবেন। তবে সার ও কীটনাশকের দাম কম হলে আরও বেশি লাভ পাওয়া যেত।
অন্যদিকে চরজব্বারের ৫ নং ওয়ার্ডের কৃষক বাহার উদ্দিন বলেন, প্রতিটি ওয়ার্ডে একজন দলপতি থাকেন, তার পছন্দমত লোকেরা সুবিধা পেয়ে থাকেন আমাদের মত ক্ষুদ্র চাষীরা বঞ্চিত হচ্ছি।বছর বছর তালিকা হয় আমাদের স্থান হয়না। একই নাম বছরের পর বছর থেকে যায়। কোন ধরনের সংযোজন হতে দেখিনা।
মোহাম্মদপুরের কৃষক জামাল উদ্দিন জানান, গভীর নলকূপের সংকট ও বৈদ্যুতিক গোলযোগের কারণে হেক্টর প্রতি খরচ নির্ধারিত খরচের তুলনায় কিছুটা বেশি হয়েছে।
সুবর্ণচরের উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ হারুন অর রশিদ জানান, অধিক লাভের আশায় এ উপজেলার কৃষকরা ব্যাপকহারে বোরো ধানের চাষ করেছেন। এ বছর বোরো ধানের আবাদ হয়েছে ১১ হাজার হেক্টর, উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা ছিলো ৫৬২৫ হেক্টর, গত বছরের তুলনায় এবার আবাদ বেশি হয়েছে ৫৩৭৫ হেক্টর।
ধানের ফলন ভালো পেতে আমরা কৃষকদের সব ধরণের সহযোগিতা ও পরামর্শ প্রদান করছি। আশা করছি এবারও কৃষকরা লাভবান হবেন।
আগামীনিউজ/এএস