মানিকগঞ্জঃ লকডাউন আর অর্থনৈতিক দৈন্যতার ভয়ে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রায় ২১ জেলার নিম্ন আয়ের মানুষ ও সাধারণ ছুটির আওতায় ঘরমুখো মানুষ এবং যানবাহনের চাপ বাড়ছে পাটুরিয়া ঘাট এলাকায়।
মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ছোট গাড়ি ও পণ্যবোঝাই ট্রাকের লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় পাটুরিয়া- দৌলতদিয়া নৌরুট পারের অপেক্ষায়।
বিআইডব্লিউটিএর দুটি ট্রাক ট্রার্মিনালে আড়াই শতাধিক পণ্যবোঝাই ট্রাক ও ওজন স্কেলের সামনে আরো শতাধিক ট্রাক অপেক্ষায় রয়েছে এবং ছোট গাড়ি রয়েছে প্রায় তিন শতাধিক। ছোট গাড়িগুলো পাঁচ নম্বর পন্টুন দিয়ে পার হচ্ছে। বেনাপোলগামী মাইক্রোবাসের চালক কামাল হোসেন বলেন, রাত ১২টা থেকে পাটুরিয়া ঘাটে নৌপথ পারের অপেক্ষায় বসে আছি এখনো আমার সামনে আরো ২০/২৫টা গাড়ি আছে, কখন টিকিট পাবো তারপর সেই কাঙ্ক্ষিত ফেরির দেখা মিলবে।
রাজবাড়ীগামী প্রাইভেটকারের যাত্রী বলেন, গণপরিবহন বন্ধ থাকায় কয়েকজন মিলে একটি প্রাইভেটকার ভাড়া করে বাড়ি যাচ্ছি কিন্তু রাত ৩টা থেকে এখনো আটকে আছি কখন বাড়ি পৌঁছাতে পারবো সেই চিন্তায় আছি। বাড়ি যাচ্ছেন কেন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমি ঢাকায় ছোট একটি মুদির দোকান করি, লকডাউনের জন্য সব কিছু বন্ধ থাকার কথা সে জন্য গ্রামের বাড়ি যাচ্ছি। কারণ ঢাকায় থাকলে যে টাকা খরচ হবে সে টাকা তো আয় করতে পারবো না এই কারণে বাড়ি যাওয়া।
পাটুরিয়া ঘাটে দায়িত্বরত সার্জেন্ট গুলজার হোসেন বলেন, পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় মধ্যরাত থেকেই ছোট গাড়ির (প্রাইভেটকার) বেশ চাপ রয়েছে আর সে কারণেই অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ওই গাড়িগুলো নৌপথ পার করা হচ্ছে। এছাড়া সিরিয়াল অনুযায়ী সাধারণ পণ্যবোঝাই ট্রাকগুলো পারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) পাটুরিয়া ঘাট পয়েন্টের বাণিজ্য বিভাগের সহকারী ব্যবস্থাপক মহিউদ্দিন রাসেল বলেন, আজ ঘাট এলাকায় ছোট গাড়ির বেশ চাপ রয়েছে। বর্তমানে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুট পারের অপেক্ষায় ছোট বড় মিলিয়ে কয়েক শতাধিক যানবাহন পারের অপেক্ষায় আছে। ১৭টি ফেরির মধ্যে ১৬টি ফেরি চলাচল করছে এবং ঢাকা ফেরি নামে ফেরিটি যান্ত্রিক ত্রুটি থাকায় পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় ভাসমান কারখানায় মেরামতের জন্য রাখা হয়েছে।
আগামীনিউজ/এএস