নারায়ণগঞ্জ: জেলার শীতলক্ষ্যায় যাত্রীবাহী লঞ্চ ডুবির নিখোঁজদের মধ্যে থেকে আরো ৬ যাত্রীর লাশ উদ্ধার করেছে নৌ পুলিশ।
মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মদনগঞ্জ, কয়লা ঘাটসহ নদীর বিভিন্ন জায়গায় লাশ গুলো ভেসে উঠে। এনিয়ে লাশের সংখ্যা দাঁড়াল ৩৫ জন।
ছোট লঞ্চ গুলো এসব রুটে চলাচল বন্ধের দাবী জানিয়েছে নিহতের স্বজনরা।
লঞ্চ ডুবির পর থেকেই নদীর দুই তীরে স্বজন ও এলাকাবাসী ভীড় করছে। স্বজনদের সন্ধানে শীতলক্ষ্যার তীরে নির্ঘুম রাত কাটিয়েছেন কেউ কেউ। নদীর দুইপাড়ে চলছে স্বজনদের আহাজারী। উদ্ধার হওয়া মরদেহ গুলো সনাক্ত হওয়ার পর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। কোন কোন পরিবারের তিনজনই নিহত হয়েছে। গতকাল দুইজনের এবং আজ একজনের লাশ পেয়েছে।
এ দুর্ঘটনার জন্য অনেকে ছোট ছোট লঞ্চ চলাচলই দায়ী বলে মনে করেন। তাই তারা ছোট লঞ্চ গুলো এসব রুটে চলাচল বন্ধের দাবী জানিয়েছে নিহতের স্বজনরা।
লঞ্চ ডুবির প্রায় ৪০ ঘন্টা পর মঙ্গলবার সকাল থেকেই সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মদনগঞ্জ, কয়লা ঘাটসহ নদীর বিভিন্ন জায়গায় লাশ গুলো ভেসে উঠে।
তাই নৌপুলিশ আগামী ২৪ ঘন্টা পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রাখেবে বলে জানান নৌ থানা নারায়ণগঞ্জের উপ পরিদর্শক ইউনুছ আলী।
তিনি জানান উদ্ধার হওয়া লাশ গুলো জেলা প্রশাসনের আর্থিক সহায়তাসহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় নারায়ণগঞ্জ থেকে ছেড়ে যাওয়া মুন্সিগঞ্জ যাওয়ার পথে কয়লা ঘাট এলাকায় অপর একটি জাহাজের ধাক্কায় তাবিত আল হাসান নামে লঞ্চটি ডুবে যায়। ওই লঞ্চে অর্ধ শতাধিক যাত্রী ছিল। উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয় সোমবার দুপুরে জাহাজটি উদ্ধার করে ২৯ জনের লাশ উদ্ধার করে। আর
ঘটনার রাতে ৫ নারী যাত্রীর লাশ উদ্ধার করা হয়।
আগামীনিউজ/মালেক