কুষ্টিয়া: নিজেদের অসাবধানতা ও অসচেতনতা সহ অগ্নি নির্মূলে নিজেদের অজ্ঞতা এবং বিদ্যুতের শর্ট সার্কিটে কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলায় ৫ টি অগ্নিকাণ্ডে একজনের মৃত্যু ও কোটি টাকার সম্পত্তি ভষ্মিভূত হয়েছে বলে এলাকাবাসীর দাবি। এ সকল অগ্নিকাণ্ডে এলাকাবাসীর জান- মালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের সাব অফিসার মোশাররফ হোসেন জানান গত মার্চ মাস থেকে আজ পর্যন্ত উপজেলায় মোট ৫ টি অগ্নিকাণ্ড সংঘটিত হয়। এর মধ্যে ১বৃদ্ধা নারী ও ১০ টি ছাগল সহ বেশ কিছু ঘরবাড়ি ভস্মীভূত হয়ে।
গত ১৮ ই মার্চ উপজেলার মাষিলিয়া গ্রামের হবু পরামানিকের বাড়ির চুলার আগুনের অগ্নিকাণ্ডে বসতবাড়ির সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়ে যায়। এতে পরিবারের সকল সদস্য খোলা আকাশের নিচে বসবাস করতে থাকে।
২৩ মার্চ রাতে উপজেলা ধুষন্ডী গ্রামের আব্দুর রশিদের বাড়িতে গরু রাখার গোয়াল ঘরে মশার কয়েলের থেকে অগ্নিকাণ্ডে বসতবাড়ি সহ সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়ে যায়। এ অগ্নিকাণ্ডে গোয়াল ঘরে রাখা ১০ টি ছাগল ভষ্মিভূত হয়।
গত ২৭ মার্চ আমবাড়িয়া গ্রামে আবুল কাশেম পরামানিক এর বাড়ির সাত ভাইয়ের বসতবাড়ি এবং সকল ঘরবাড়ি সম্পূর্ণ পুড়ে ভস্মীভূত হয়ে যায়। উপজেলার অগ্নিকাণ্ডের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ঐ ৭ পরিবারের ৩৫ সদস্য অদ্যাবধি মানবেতর জীবনযাপন করছে।
এছাড়াও মার্চ মাসের ২৮ তারিখে জানিপুর ইউনিয়নের ঈশ্বরদী গ্রামে চুলার আগুনের অগ্নিকান্ডে ৭০ বছরের এক প্রতিবন্ধী মহিলা মারা যায়।
সর্বশেষ চলতি মাসের ৩ তারিখে বিহারিয়া গ্রামে বিদ্যুতের শর্ট সার্কিটের অগ্নিকাণ্ডে কৃষক রেজাউলের বাড়ির বসতভিটাসহ সম্পূর্ণ পুড়ে ভস্মীভূত হয়। এসকল অগ্নিকান্ডে ফায়ার স্টেশনের কর্মীরা ও স্থানীয় এলাকাবাসীর সহযোগিতায় অগ্নিনির্বাপণ করা হয়।
উপজেলা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সাব অফিসার মশাররফ হোসেন জানান, এ সকল অগ্নিকাণ্ডে এলাকাবাসীর অসচেতনতা ও অসাবধানতায় এমন জানমালের ক্ষয়ক্ষতি হয়। তিনি আরো বলেন ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় কোটি টাকার বেশি।
তিনি দাবি করেন সময়মতো ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা নির্ধারিত সময়ে অগ্নিনির্বাপণ করায় ক্ষয়ক্ষতি অনেকটাই কমানো সম্ভব হয়েছে।
তবে এলাকাবাসীর দাবি অগ্নিকান্ডের ঘটনায় তাৎক্ষণিক সংবাদ দিলেও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা সময় মতন ঘটনাস্থলে না আসায় ব্যাপক জান-মালের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
আগামীনিউজ/মালেক