যশোর: সহিংসতা ছাড়াই যশোর পৌরসভার নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) সকাল ৮ থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলে। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হায়দার গনী খান পলাশ ৩২ হাজার ৯শ’৪০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন।
তার নিকটতম প্রার্থী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাতপাখা প্রতীকের মোহাম্মদ আলী সরদার পেয়েছেন ১২ হাজার ৯শ’৪৬ ভোট। নির্বাচনী মাঠে না থেকেও বিএনপির ধানের শীষের প্রার্থী মারুফুল ইসলাম ৭ হাজার ৩শ’ ২ ভোট পেয়েছেন। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার হুমায়ুন কবীর এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এছাড়া কাউন্সিলর পদে ১ নম্বর ওয়ার্ডে সাহিদুর রহমান (পাঞ্জাবী), ২ নম্বর ওয়ার্ডে শেখ রাশেদ আব্বাস রাজ (পানির বোতল), ৩ নম্বর ওয়ার্ডে শেখ মোকছিমুল বারী (গাজর), ৪ নম্বর ওয়ার্ডে জাহিদ হোসেন (টেবিল লাম্প), ৫ নম্বর ওয়ার্ডে রাজিবুল আলম (ব্লাক বোর্ড), ৬ নম্বর ওয়ার্ডে আলমগীর কবির সুমন(পাঞ্জাবী), ৭ নম্বর ওয়ার্ডে শাহেদ হোসেন নয়ন ( ব্লাকবোর্ড), ৮ নম্বর ওয়ার্ডে প্রদীপ কুমার নাথ বাবলু (উটপাখি), ৯ নম্বর ওয়ার্ডে আসাদুজ্জামন (পানির বোতল) বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
ভোট চলাকালীন সময়ে নাজির শংকরপুর কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার অনুপ কুমার দে বলেন, এ কেন্দ্রে ৩ হাজার ২৮০ জন ভোটার ছিলো। বেলা ১২ টার মধ্যে ৩০ শতাংশ ভোট পড়েছে। আশা করা যায় কেন্দ্রে ৫০ শতাংশের ওপরে ভোট কাস্ট হবে। এমএসটিপি গার্লস স্কুল অন্ড কলেজ কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার জিয়াউর রহমান বলেন, নিরপেক্ষ পরিবেশে ভোটগ্রহণ হয়েছে। কোনো বিশৃঙ্খলা হয়নি।
উল্লেখ্য, পৌরসভার ৫৫টি কেন্দ্রে ৪৭৯টি বুথে ভোটগ্রহণ হয়। নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের তিন প্রার্থী মনোনয়ন সংগ্রহ করেন। তবে, বিএনপির প্রার্থী ইতোমধ্যে ঘোষণা দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন। এছাড়া কাউন্সিলর পদে ৪৭জন ও নারী কাউন্সিলর পদে ১৩জন প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছিলেন।
আগামীনিউজ/মালেক