শেরপুরঃ কোভিড-১৯ তা-বের কারণে শেরপুরের নাকুগাঁও ইমিগ্রেশন পয়েন্ট গত এক বছরে প্রায় ২৫ লাখ টাকার ভ্রমণ কর বা রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হয়েছে। গত বছর সারা বিশ্বে করোনা আঘাত হানে, যা বাংলাদেশে শুরু হয় মার্চে।
ওই মাসে লকডাউন শুরু হয়। এ সময় শেরপুরের নালিতাবাড়ি উপজেলার নাকুগাঁও স্থলবন্দর ও ইমিগ্রেশন পয়েন্ট বন্ধ করা হয়। সম্প্রতি এ স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি শুরু হলেও যাত্রী পারাপার এখনও বন্ধ রয়েছে। ফলে এ ইমিগ্রেশন পয়েন্ট দিয়ে গত এক বছরে যাত্রী পারাপার না হওয়ায় ভ্রমণ কর শূন্যের কোঠায়।
নাকুগাঁও স্থলবন্দর কাস্টমস ও ইমিগ্রেশন সূত্রে জানা গেছে, দেশের পূর্ব-উত্তর সীমান্তের গুরুত্বপূর্ণ নাকুগাঁও স্থলবন্দর ও ইমিগ্রেশন পয়েন্ট দিয়ে ভারতের মেঘালয়, আসাম, পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়ি ও দার্জিলিংসহ নেপাল, ভুটান ও সিকিম ভ্রমণকারী এবং ব্যবসায়ীদের যাতায়াতে সহজ রুট তৈরি হওয়ার পর যাত্রী পারাপার বেড়েছে।
২০১৮-১৯ অর্থবছরের হিসাব অনুয়ায়ী, সরকার ২৩ লাখ ৬০ হাজার টাকার ভ্রমণ কর পায়। এরপর ২০১৯-২০ অর্থবছরের ২৫ মার্চ পর্যন্ত ভ্রমণ কর আদায় হয় ১৭ লাখ চার হাজার টাকা। ২০২০ সালের ২৬ মার্চ থেকে লকডাউন শুরু হলে যাত্রী পারাপার বন্ধ হয়ে যায়। ফলে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত কোনো ভ্রমণ কর আদায় হয়নি।
সূত্র জানায়, সম্প্রতি সরকার শুধু মেডিকেল ও বিজনেস ভিসা চালু করলেও এ সীমান্ত দিয়ে কোনো যাত্রী পারাপারের অনুমোদন দেয়া হয়নি। উল্লেখিত ভিসার যাত্রীদের শুধু আকাশপথ ও স্থলপথে বেনাপোল বন্দর ব্যবহারের অনুমতি দেয়া হয়েছে।
নাকুগাঁও স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান মুকুল জানান, নাকুগাঁও বন্দর চালু এবং পণ্য আমদানি হলেও ইমিগ্রেশন বন্ধ থাকায় আমরা ভারত ও ভুটানের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলতে পারছি না। ফোনে যোগাযোগ করা হলেও ভাষাগত কারণে নানা প্রতিবন্ধকতা হচ্ছে। ফলে আমাদের ব্যবসার ক্ষেত্রে সাময়িক সমস্যা হচ্ছে।
কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাটের রাজস্ব কর্মকর্তা মোখলেছুর রহমান জানান, করোনা সংকটের মধ্যেও আমাদের নাকুগাঁও স্থলবন্দর চালু রয়েছে। তবে যাত্রী পারাপার বা ইমিগ্রেশন বন্ধ থাকায় ভ্রমণ কর আদায় বন্ধ রয়েছে। ফলে এ খাতে গত এক বছরে কোনো আয় নেই। ভ্রমণ ভিসা চালু হলে আবারও সচল হবে ইমিগ্রেশন। তবে স্থলবন্দরের আয় বিগত কয়েক বছরের চেয়ে বেশি হয়েছে।
আগামীনিউজ/এএস