মুজিব শতবর্ষের মাসে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে শিল্পীদের নিপুন হাতের ভাস্কর্য তৈরির পরে রংতুলির আচড়েই চলছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সমানের একটি বট গাছের গোড়া বেধে ভাষা আন্দোলন, বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ, রাষ্ট্র ভাষা বাংলা চাই, বাংলা আমার মায়ের ভাষা, ৬ দফার আন্দোলন, স্মৃতি সৌধ, সংগ্রাম দিবসসহ স্বাধীনতার বিভিন্ন ধরণের সংগ্রামী ছবি। সাথে সাথে মঞ্চে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে বাংলাদেশ সৃষ্টির দৃশ্য। নব নিযুক্ত জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ এই মহত উদ্যোগটি গ্রহণ করেন। জেলা প্রশাসকের এই নতুন উদ্যোগ যা রীতিমত জেলাবাসীকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে।
নতুন প্রজন্ম বলছেন, এই উদ্যোগের মাধ্যমে ৫২ ভাষা আন্দোলন, ৭১’র মুক্তিযুদ্ধসহ বাঙালি, বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। আর এই ছবিগুলো দেখে ওই সময়ের ইতিহাস অন্তরে লালন করতে পারবে নতুন প্রজন্ম। আর এই মহান উদ্যোগের জন্য জেলা প্রশাসককে ধন্যবাদও জানান তারা।
চিত্রশিল্পী শ্রী সরম জানান, অন্যান্য ছবি রংতুলির মাধ্যমে আকলেও এটা একটি ব্যতিক্রমী কাজ। জেলা প্রশাসনসহ রাজনৈতিক দলের নেতাদের কাছে দাবি এ ধরণের ভাস্কর্যগুলো তুলে ধরলে নতুন প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধ ইতিহাস জানতে পারবে।
নতুন প্রজন্মের রংতুলি চিত্রশিল্পী লাকী আগামী নিউজকে জানান, বাবা সাথে বাংলাদেশের যুদ্ধের সংগ্রামী ছবিগুলোর কাজ করতে পেরেও নিজেকে ধন্য মনের করছি। এখন থেকে যেমন রংতুলির কাজ শিখতে পারছি তেমনি যুদ্ধের ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারছি। আর নিজের মধ্যে ধরণ করতেও পারছি।
রাজশাহী কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবী-অরাজনৈতিক সংগঠন বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ চাই এর আহ্বায়ক আসলাম উদ দৌলা আগামী নিউজকে জানান, প্রশাসন একসময় ছিলো, জাতির পিতার শ্লোগানটি তাদের দেয়ালেই ঝুলিয়ে রাখতো। এখন প্রশাসন বাস্তব ও জনমুখি হচ্ছে। আর বাংলাদেশের জনগণ এখন অনেক সচেতন হয়ে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানতে চাই। তারা দেশ গড়ার জন্য ভূমিকা পালন করতে চাই। আর এই উদ্যাগ নতুন প্রজন্ম ও সংগ্রামী মানুষকে নতুন করে ভাবনার খোরাক জোগাবে।
জেলা প্রশাসক মোঃ মঞ্জুরুল হাফিজ আগামী নিউজকে জানান, বঙ্গবন্ধুকে কেন্দ্র করে এই জেলায় কোন ধরনের স্থাপনা নেই। জেলা প্রশাসন কার্যালয়, জজ কোর্ট, সিভিল সার্জন, পুলিশ সুপার অফিস নিয়ে এটা একটি ক্যাম্পাসে পরিনত হয়েছে। এর মাঝে একটি বঙ্গবন্ধু মঞ্চ তৈরি করা যেতো তাহলে সবধরণের অনুষ্ঠান করা সম্ভব হতো। এই মঞ্চের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে চিনবে, ৫২ থেকে ৭১’র ঘটনা জানতে পারবে নতুন প্রজন্ম। বাংলাদেশের উন্নয়নের চিত্রায়িত করা হয়েছে। এই মঞ্চে বিভিন্ন অনুষ্ঠান করতে পারবে সবাই। সবার কাছে সেই সময়ের ইতিহাত পৌছনোর জন্যই এ উদ্যোগ।
স্থানীয়দের দাবী, শুধু একই স্থানে এই উদ্যোগ গ্রহণ করলেই হবে না সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ শহরের গুরুত্বপুর্ণ জায়গা এ ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। আর সকলকেই এগিয়ে আসা দরকার।
আগামীনিউজ/এএস