1. প্রচ্ছদ
  2. জাতীয়
  3. সারাবাংলা
  4. রাজনীতি
  5. রাজধানী
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আদালত
  8. খেলা
  9. বিনোদন
  10. লাইফস্টাইল
  11. শিক্ষা
  12. স্বাস্থ্য
  13. তথ্য-প্রযুক্তি
  14. চাকরির খবর
  15. ভাবনা ও বিশ্লেষণ
  16. সাহিত্য
  17. মিডিয়া
  18. বিশেষ প্রতিবেদন
  19. ফটো গ্যালারি
  20. ভিডিও গ্যালারি

কোম্পানীগঞ্জে আ.লীগের দুইগ্রুপের সংঘর্ষে নিহত ১, গুলিবিদ্ধ ১৩

মুজাহিদুল ইসলাম সোহেল, নোয়াখালী প্রতিনিধি   প্রকাশিত: মার্চ ১০, ২০২১, ০৬:৪০ এএম কোম্পানীগঞ্জে আ.লীগের দুইগ্রুপের সংঘর্ষে নিহত ১, গুলিবিদ্ধ ১৩
ছবি: আগামী নিউজ

নোয়াখালী:  জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় আ.লীগের বিবদমান দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ফের গুলিবিদ্ধ হয়ে এক জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহত মো.আলাউদ্দিন (৩২) উপজেলার চরফকিরা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের মমিনুল হকের ছেলে এবং পেশায় সিএনজি চালক। 

মঙ্গলবার (৯ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত বসুরহাট বাজারের পৌরসভা প্রাঙ্গণ এলাকার বিভিন্ন স্থানে থেমে থেমে দফায় দফায় কাদের মির্জা ও বাদল গ্রুপের মধ্যে এই সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দুইগ্রুপের অন্তত ১৩জন গুলিবিদ্ধসহ ৩০জন আহত হয়েছে।

নোয়াখালী সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) সৈয়দ মহিউদ্দিন আবদুল আজিম জানান, গুলিবিদ্ধ একজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়াও আরো ১১জন গুলিবিদ্ধ অবস্থায় নোয়াখালী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্যমতে, মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টায় উপজেলা আ.লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খানের ওপর হামলার প্রতিবাদে বসুরহাট বাজারের রুপালী চত্তরে এক প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে উপজেলা আ’লীগ। পরে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ সভায় আবদুল কাদের মির্জার অনুসারীরা সভার একেবারে শেষ মুহূর্তে ককটেল ও গুলি ছোঁড়ে এবং সভার পার্শ্ববর্তী এলাকায় ব্যাপক ককটেল বিষ্ফোরণ করে একটি নৈরাজ্যকর পরিবেশ সৃষ্টি করে। এ সময় সভাস্থল থেকে উপজেলা আ’লীগের নেতৃবৃন্দ একত্রিত হয়ে মির্জা কাদেরের অনুসারীদের প্রতিরোধ করতে গেলে মাকসুদাহ গার্লস স্কুল রোড এলাকায় দু’গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা, ককটেল বিস্ফোরণ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এ সময় পুরো বসুরহাট বাজার জুড়ে থমথমে পরিবেশ সৃষ্টি হয়।

এ ছাড়াও থেমে থেমে ক্ষমতাসীন দলের দু’গ্রুপের অনুসারীরা বসুরহাট বাজারের বিভিন্নস্থানে ককটেল বিস্ফোরণ, গোলাগুলি ও ভাঙচুর চালায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে আহত হন ওসি মীর জাহিদুল হক রনিসহ চার পুলিশ। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মো.আলাউদ্দিন নামে একজন মারা যান। 

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল জানান, নিহত আলাউদ্দিন তার যুবলীগ কর্মি। সে তার পাশের বাড়ির ছেলে। তিনি এ হত্যার জন্য কাদের মির্জাকে দায়ী করেন ।

কোম্পানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর জাহিদুল হক রনি আগামীনিউজকে জানান, পরিস্থিতি এখন পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ ছাড়াও পুলিশ যে কোন অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে সর্তক অবস্থানে রয়েছে।

উল্লেখ্য, গত কিছু দিন থেকে কাদের মিজার সঙ্গে স্থানীয় আ.লীগ নেতাদের দ্বন্ধ চলছিল। কয়েক দিন আগে উপজেলার চাপরাশির হাট বাজারে দু’পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে সাংবাদিক বোরহান উদ্দিন মুজাক্কির মারা যায়।

আগামীনিউজ/মালেক

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে
Small Banner