চট্টগ্রামঃ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচন চলছে। ভোটের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলছে সহিংসতা, সংঘর্ষ, মৃত্যু। নগরীর বিভিন্ন কেন্দ্রে ভিন্ন ভিন্ন অবস্থা। কোথাও ভোট পড়েছে কম, কোথাও বেশি। দূরবস্থা পশ্চিম বাকলিয়ার ভোট কেন্দ্রে। সেখানে নির্বাচন শুরুর চার ঘণ্টায় ভোট পড়েছে মাত্র এক শতাংশ। অর্থাৎ শ’য়ে মোটে একটি!
বাকলিয়ার ভোট কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার কানন দাশ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আজ বুধবার সকাল ৮টার দিকে চসিকে নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে দুপুর ১২টা পর্যন্ত পশ্চিম বাকলিয়ার বাকলিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের ছয়টি পোলিং বুথে ৩০টি ভোট পড়েছে।
পশ্চিম বাকলিয়ার এলাকার চারটি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের মধ্যে একটি বাকলিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র। এই কেন্দ্রটি নারী ভোটারদের জন্য। এখানে মোট ভোটার সংখ্যা দুই হাজার ৮৮৭। কানন বলেন, ‘নারী ভোটারদের ভোট দেওয়ার হার খুবই কম।’
এই কেন্দ্রটিতে বিএননি মনোনীত মেয়রপ্রার্থী শাহাদাত হোসেন বা বিএনপি-সমর্থিত মেয়রপ্রার্থী আরিফুল ইসলামের কোনো এজেন্টকে দেখা যায়নি। পোলিং অফিসাররা বলেছেন, এই প্রার্থীদের কোনো এজেন্ট এসে পৌঁছায়নি বা তাদের কাছে যায়নি।
চসিক নির্বাচনে সহিংসতা অস্বাভাবিক পর্যায়ে যাচ্ছে। সকাল থেকে খুন হয়েছেন দুজন। বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগ-বিএনপির নেতকর্মীদের হাতাহাতি, মারধর, সংঘর্ষ ঘটেছে। নগরীর লালখান বাজার ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থীর অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় আহত হয়েছে ২১ জন।
খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুজ্জামান জানান, কেন্দ্রের বাইরে দু’পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়েছিল। পুলিশ-বিজিবি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে।
পাহাড়তলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান ইমাম দুই খুনের ব্যাপারে নিশ্চিত করেছেন।
আগামীনিউজ/এএইচ