1. প্রচ্ছদ
  2. জাতীয়
  3. সারাবাংলা
  4. রাজনীতি
  5. রাজধানী
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আদালত
  8. খেলা
  9. বিনোদন
  10. লাইফস্টাইল
  11. শিক্ষা
  12. স্বাস্থ্য
  13. তথ্য-প্রযুক্তি
  14. চাকরির খবর
  15. ভাবনা ও বিশ্লেষণ
  16. সাহিত্য
  17. মিডিয়া
  18. বিশেষ প্রতিবেদন
  19. ফটো গ্যালারি
  20. ভিডিও গ্যালারি

ধান-চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করেনি চুয়াডাঙ্গা

সোহেল রানা ডালিম, জেলা প্রতিনিধি প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২০, ০২:০০ পিএম ধান-চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করেনি চুয়াডাঙ্গা
ছবি : সংগৃহীত

চুয়াডাঙ্গাঃ জেলায় বোরো মৌসুমে ধান চাল সংগ্রহে নির্ধারিত সময়ের অতিরিক্ত ১৫ দিন বৃদ্ধি করেও লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি। ধান সংগ্রহ হয়েছে লক্ষ্যমাত্রার ৩৩.০৬ শতাংশ এবং চাল ৭৭.১৯ শতাংশ। খাদ্য বিভাগ এ ব্যর্থতার জন্য চুক্তিভিত্তিক মিলারদের দায়ী করছেন।

এ ঘটনায় অনেক মিলারকে ইতিমধ্যেই কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে খাদ্য বিভাগ। আর অভিয্ক্তু মিলাররা বলছে, বাজারদর বেশি হওয়ায় এরকম হয়েছে। করোনা পরিস্থিতির কারনে সরকারিভাবে ঘোষিত ধান-চালের মূল্য খোলা বাজারের থেকে বেশি থাকায় সংগ্রহে বড় আকারের ধাক্কা লেগেছে।

চুয়াডাঙ্গা জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ অফিস সূত্রে জানা গেছে, বোরো সংগ্রহ অভিযানে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ২৬ টাকা দরে ৫ হাজার ৩১০ মেট্টিক টন ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু সংগ্রহ হয়েছে মাত্রা ১ হাজার ৭৫৬ মেট্টিক টন। যা লক্ষ্যমাত্রার ৩৩ দশমিক ০৬ ভাগ মাত্র।

অপরদিকে, ৩৬ টাকা কেজি দরে ৭ হাজার ৬০৫ মেট্টিক টন সিদ্ধ ও আতপ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও অর্জন হয়েছে ৫ হাজার ৮৭১ মেট্টিক টন। যা শতকরা ৭৮ ভাগের কাছাকাছি। এ বছর ধান-চাল সরবরাহের সময় সিমা ছিলো প্রথমে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত। কিন্তু নির্দিষ্ট সময় শেষে ধান-চাল সংগ্রহের লক্ষমাত্রা পুরন না হওয়ায় আরও ১৫ দিন অতিরিক্ত সময় বাড়ায় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু অতিরিক্ত সময় বাড়িয়েও লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা সম্ভব হয়নি।

চুয়াডাঙ্গার চার উপজেলায় বোরো মৌসুমে চাল সরবরাহের জন্য চুক্তিবদ্ধ মিলার মালিক ছিলেন ১৯৭জন। এদের মধ্যে ১২১ জন মিলার চুক্তি অনুযায়ী চাল সরবরাহ করেছে। আংশিক পরিমাণ চাল সরবরাহ করেছে ৫২ জন মিলার। একেবারেই চাল সরবরাহ করেনি ৩৪ জন মিল মালিক। চাল সরবরাহ না করায় ইতিমধ্যেই ৩৪জন মিল মালিককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে চুয়াডাঙ্গা জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক। আগামী ৩১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সঠিক কারণ দেখাতে না পারলে তাদেরকে কালো তালিকাভুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছে চুয়াডাঙ্গা খাদ্য বিভাগ।

ধান সরবরাহ কেন করছেন না এ বিষয়ে কৃষকরা জানান, সরকারি খাদ্য গুদামে ধান বিক্রয় করতে নানা রকমের বিড়ম্বনা রয়েছে। গুদামে ধান নিয়ে আসার আগেই নমুনা জমা দিতে হয়। তারপর কর্মকর্তারা নমুনা দেখে ধান নেবেন কি নেবেন না সেটি নিশ্চিত করেন। চলতি মৌসুমে করোনা পরিস্থিতির কারনে সড়কে যানবাহনে অতিরিক্ত ভাড়া থাকায় লোকসানের মুখে পড়তে হচ্ছিলো তাদের। এজন্য তারা গ্রামের ফড়িয়া অথবা মিল মালিকদের কাছে ধান দিয়েছেন। ফড়িয়াদের কাছে ধান বিক্রির ক্ষেত্রে তেমন বিড়ম্বনা থাকেনা। তারা কৃষকের বাড়ি অথবা নিকটবর্তী স্থান থেকেই নগদ টাকায় ধান কিনে নেন। অপরদিকে, এবারে সরকারি মূল্যের থেকে বাজারমূল্য বেশি হওয়ায় আরো বেশি সুবিধা পেয়েছেন কৃষকরা।

চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণের নেপথ্যে জানা গেছে, বোরো মৌসুমের শুরুতেই বাজারে ধানের দাম চড়া ছিল। পরে বাজারে ধানের দাম আরও বাড়তে থাকে। এর প্রভাব চালের বাজারে পড়ে। বোরো মৌসুমে সরকারিভাবে ধানের ক্রয় মূল্য ১ হাজার ৪০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু খোলা বাজারেও একই হারে বা তার থেকে বেশি মূল্যে ধান কেনাবেচা চলছে। তাছাড়া খোলা বাজারে মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৪২-৪৪ টাকা কেজি দরে। কিন্তু সরকারিভাবে মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৬ টাকা। খাদ্যগুদামে চাল দিতে হলে, মিলারদের অনেক টাকা লোকসান গুনতে হবে। সেজন্য অনেক মিলার চাল সরবরাহ করেনি।

জেলা চালকল মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুল্লাহ শেখ বলেন, এবার বোরো মৌসুমের শুরু থেকেই ধানের বাজার ঊর্ধ্বগতি হওয়ায় আশানুরূপ ধান কিনতে পারেননি চালকল মালিকেরা। আবার বাজারে সরকারি মূল্যের থেকে চালের দাম বেশি। একই রকম অবস্থা ধানেরও। সেক্ষেত্রে ধান কিনে, ধান থেকে চাল করে মিল মালিকদের যদি সরকারি খাদ্যগুদামে চাল দিতে হয়, তাহলে লোকশান হবে বড় ধরনের। তিনি নিজেও লোকশান করে সরকারি খাদ্যগুদামে চাল সরবরাহ করেছেন জানিয়ে বলেন, লাইসেন্স যাতে বাতিল না হয়, সেজন্য চাল দিয়েছি। কম মূল্যের কারণেই, অনেক চালকল মালিক চুক্তি করেও গুদামে চাল সরবরাহ করতে পারেননি। তবে শুরু থেকেই আমরা বলেছিলাম সরকারি মূল্য বাজার মূল্যের সাথে সামঞ্জস্য রেখে নির্ধারণ করতে।

চুয়াডাঙ্গা জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক রেজাউল ইসলাম বলেন, এ বছর করোনার কারণে স্থানীয় বাজারে ধানের দাম বেশি ছিল। ফলে কৃষকরা সরকার নির্ধারিত মূল্যে ধান বিক্রি করতে উৎসাহ দেখাননি। তাই এ বছর ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। তবে চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অনেকটাই কাছাকাছি গেছে। যেসকল মালিকদের চাল সরবরাহে তাগাদা দিয়েও একেবারেই চাল সরবরাহ করেনি, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই শোকজ করা হয়েছে। তাদেরকে কালো তালিকাভুক্তও করাও হতে পারে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

আগামীনিউজ/মিথুন

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে
Small Banner