মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার বহেরাতলা ও শিরুয়াইল ইউনিয়নের কলাতলা এলাকায় আড়িয়াল খাঁ নদের পাড় থেকে অবৈধভাবে চলছে মাটি কাটার হিড়িক। নদীর তীরের মাটি ও গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছে অসাধু মাটি ব্যবসায়ীরা।
এভাবে পাড় থেকে মাটি ও গাছ কেটে নেয়ার কারণে দুর্বল হয়ে পড়ছে নদীর তীর। ফলে স্থানীয়রা আগামীতে আবারও ভাঙনের আশঙ্কা করছেন।
ইতোমধ্যে আড়িয়াল খাঁ নদের ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে রাস্তাঘাট, ফসলি জমি, বাজারসহ অসংখ্য ঘরবাড়ি। জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয়দের বাধায়ও থামনো যাচ্ছে না মাটি ব্যবসায়ীদের।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কিছু অসাধু ব্যক্তি নিজ স্বার্থে নদীর পাড়ের মাটি ও গাছ কেটে সাবাড় করে দিচ্ছেন। সবার চোখের সামনেই নদী পাড়ের মাটি কেটে নিচ্ছেন তারা। কেউ বাঁধা দিতে গেলেও মাটি কাটা বন্ধ করছে না ওইসব মাটি ব্যবসায়ীরা। ইঞ্জিন চালিত ট্রলার দিয়ে নদীর পাড়ের উবর মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছেন তারা। এতে হুমকির মধ্যে আছে আড়িয়াল খাঁ পাড়ের জমি, ঘরবাড়ি ও রাস্তাঘাট।
এ চক্রটি পাশে বেড়িবাঁধ থাকলেও নদীর পাড়ের উঁচু মাটি কেটে সমান করে ফেলেছে। ফলে আড়িয়াল খাঁ পাড়ের বাসিন্দারা আগামীতে আবারও নদীভাঙনের আশঙ্কা করছেন। গত কয়েক বছর আগে বহেরাতলার টেকেরহাট এলাকা ভাঙনের কবলে পড়েছিল। তবে পরের বছর জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী ও স্থানীয় প্রশাসন ভাঙন রোধে জরুরি ব্যবস্থা নেয়ার কারণে তখন এই অঞ্চলটি রক্ষা পায়।
তবে বাঁধের একটু সামনেই আড়িয়াল খাঁর ভাঙনের শিকার হয় বহেরাতলা ও শিরুয়াইলের মধ্যবর্তী নদীর পাড়ে বেশকিছু ফসলি জমি। যদি দ্রুত এখানে বাঁধ নির্মাণ না করা হয় তাহলে নদী গর্ভে চলে যাবে অসংখ্য ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, অতি দ্রুত যদি নদীর পাড়ের এই মাটি কাটা বন্ধ না করা হয় তাহলে আড়িয়াল খাঁ নদের ভাঙনের শিকার হবে অসংখ্য ফসলি জমি, রাস্তাঘাট, হাটবাজারসহ ঘরবাড়ি। ওই সমস্ত অসাধু চক্রের মাটি কাটা বন্ধে আমরা প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করছি।
শিবচর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আসাদুজ্জামান বলেন, অবৈধভাবে পাড়ের মাটি কাটায় নদীর ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। আমরা দ্রুত আড়িয়াল খাঁ নদের পাড়ে মাটি কাটা বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করব এবং এ কাজে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আগামীনিউজ/এএস