1. প্রচ্ছদ
  2. জাতীয়
  3. সারাবাংলা
  4. রাজনীতি
  5. রাজধানী
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আদালত
  8. খেলা
  9. বিনোদন
  10. লাইফস্টাইল
  11. শিক্ষা
  12. স্বাস্থ্য
  13. তথ্য-প্রযুক্তি
  14. চাকরির খবর
  15. ভাবনা ও বিশ্লেষণ
  16. সাহিত্য
  17. মিডিয়া
  18. বিশেষ প্রতিবেদন
  19. ফটো গ্যালারি
  20. ভিডিও গ্যালারি

ঈদে ঝিনাইদহের চমক বাহুবলি ও টাইগার

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি প্রকাশিত: জুলাই ১১, ২০২০, ০৯:৫২ এএম ঈদে ঝিনাইদহের চমক বাহুবলি ও টাইগার
সংগৃহীত ছবি

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পাগলাকানাই ইউনিয়নের গয়েশপুর গ্রামের আলতাফ হোসেন ঝন্টুর ছেলে ইমরান হোসেন। তিনি ঝিনাইদহ সিটি কলেজ থেকে বাংলা বিভাগে অনার্স লেখাপড়ার পর বেকারত্ব জীবন যাপন করতে থাকেন। এরই মাঝে স্বপ্ন দেখেন চাকরি না করে নিজের একটি কর্মসংস্থান গড়ে তোলার। সেখান থেকেই তার কর্ম জীবনের পথ চলা। প্রথমে ব্রয়লার মুরগির একটি ফার্ম দিয়ে শুরু করেন কর্ম জীবন। পরবর্তীতে ভাই ভাই ডেইরি ফার্ম নামে একটি গো খামার গড়ে তোলেন। সেখান থেকেই তিনি গত ৫ বছরে বেকারত্বকে কাটিয়ে নিজে স্বনির্ভরশীল হন। এভাবেই তার বেড়ে ওঠা। এরই মাঝে এবারের ঈদুল আজহায় চমক সৃষ্টি করেছে বাহুবলি ও টাইগার নামের দুই ষাঁড়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভাই ভাই ডেইরি ফার্ম এর স্বত্বাধিকারী ইমরান হোসেন ২০১৫ সালে একটি গো খামার তৈরি করেন। এবারের ঈদুল আজহায় বাহুবলি ও টাইগার নামের দুই ষাঁড় দিয়ে আলোচিত হয়েছেন।

ইমরান হোসেন জানান, পরিশ্রম কখনো বৃথা যায় না। পরিশ্রম করলে সফলতা আসবেই। বিভিন্ন ফার্মে গিয়ে ও পশু চিকিৎসকদের পরামর্শ নিয়ে ফার্ম করে আজ সফল খামারি তিনি। ৫ বছর হলো এই খামারে তিনি গরু লালন-পালন করেন। বর্তমানে তার খামারে ১৩টি ছোট বড় গরু রয়েছে। তার মধ্যে বাহুবলি ও টাইগার অন্যতম। 

তিনি আরও জানান, প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা নিয়ে তিনি এ খামার শুরু করেন। ৫ বছরের মধ্যে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকার গরু তোলা হয়েছে খামারে। এছাড়াও খামার তৈরির মাধ্যমে কয়েকজন বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করেছেন। তার দাবি এ বছর করোনার মধ্যে ন্যায্য মূল্য পেয়ে লাভের মুখ দেখবেন তিনি।

খামারে কর্মরত শ্রমিক জানান, খামারের মালিক ইমরান গরুর সঙ্গে কথা বলে। সে নাম ধরে ডাক দিলেই গরু বুঝতে পারে। তিনি বলেন, এই ষাঁড় দুটি তাদের গ্রামটিকে অনেক এলাকার মানুষের কাছে পরিচিতি বাড়িয়ে দিচ্ছে। দূর-দূরান্ত থেকে লোকজন আসছেন ষাঁড় দুটিকে দেখতে।

ইমরান হোসেনের ভাই রাজিবুল ইসলাম বলেন, আমরা দুই ভাই মিলে অনেক কষ্ট করে এই গরু দুটিকে লালন পালন করেছি। আসছে ঈদুল আজহায় গরু দুটিকে নিয়ে দু’ভাইয়ের স্বপ্ন আছে গরু দুটি বিক্রয় করে ভবিষ্যতে এর চেয়ে আরও বড় গরু ঝিনাইদহবাসীর জন্য উপহার দেব। ইনশাল্লাহ।
 
এ বিষয়ে জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. আনন্দ কুমার অধিকারী জানান, তারা গরু দুটির ওজন আনুমানিক ৪০ মণ বলে ধারণা করছেন। ঈদ আসতে এখনও কিছুদিন বাকি আছে। এরই মধ্যে আরও কিছু ওজন বাড়তে পারে।

আগামীনিউজ/বুরহান/জেএফএস

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে
Small Banner