1. প্রচ্ছদ
  2. জাতীয়
  3. সারাবাংলা
  4. রাজনীতি
  5. রাজধানী
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আদালত
  8. খেলা
  9. বিনোদন
  10. লাইফস্টাইল
  11. শিক্ষা
  12. স্বাস্থ্য
  13. তথ্য-প্রযুক্তি
  14. চাকরির খবর
  15. ভাবনা ও বিশ্লেষণ
  16. সাহিত্য
  17. মিডিয়া
  18. বিশেষ প্রতিবেদন
  19. ফটো গ্যালারি
  20. ভিডিও গ্যালারি

উলিপুরে ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত টি-বাঁধ ভাঙ্গনের মুখে

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি প্রকাশিত: জুন ২৯, ২০২০, ০৭:০৩ পিএম উলিপুরে ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত টি-বাঁধ ভাঙ্গনের মুখে
সংগৃহীত ছবি

উজানের ঢল ও কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে কুড়িগ্রামের উলিপুরে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নদীর বাম তীর রক্ষায় প্রায় ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত টি-বাঁধটি ভাঙ্গনের মুখে পড়েছে। ইতিমধ্যে বাঁধটির টি পাটের বেল মাউথের ৫০ মিটার নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। টি-বাঁধটি রক্ষায় পানি উন্নয়ন বোর্ড বালু ভর্তি ৫ হাজার জিও টেক্সটাইল ব্যাগ ডাম্পিং করেছে। আরও কয়েক হাজার ব্যাগ ডাম্পিং এর কাজ চলমান রয়েছে। 

জানা গেছে, ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে প্রায় ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে উপজেলার গুনাইগাছ ইউনিয়নের নাগড়াকুড়া গ্রামে তিস্তা নদীর বাম তীর রক্ষায় টি-হেড গ্রোয়েনটি নির্মান করা হয়। এরপর থেকে প্রতি বর্ষা মৌসুমে টি-বাঁধটির বিভিন্ন অংশ ধসে যেতে থাকে। পানি উন্নয়ন বোর্ড কয়েক দফায় প্রায় কোটি টাকা ব্যয়ে বাঁধটি রক্ষার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, গত বছর টি-বাঁধটির প্রায় ১শ ৩৪ মিটার ধসে গেছে। বর্তমানে তিস্তা নদীর তীব্র স্রোত থাকায় এবারও প্রায় ৫০ মিটার নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। টি-বাঁধটি রক্ষায় ২শ ৫০ কেজি ওজনের বালু ভর্তি ৫ হাজার জিও টেক্সটাইল ব্যাগ ডাম্পিং করা হয়েছে। আরও কয়েক হাজার ব্যাগ ডাম্পিং এর কাজ চলমান রয়েছে।

সরেজমিন সোমবার (২৯ জুন) দুপুরে টি-বাঁধ এলাকায় গেলে স্থানীয় আবুল কালাম আজাদ (৫০), আব্দুল্যাহ(৪০), শাহীন আলম (৩৮), রমজান মিয়া (২৮)সহ অনেকে জানান, টি-বাঁধটি রক্ষা করা না গেলে গুনাইগাছ ইউনিয়নের নাগড়াকুড়া হাট, নন্দু নেফড়া গ্রাম, সুকদেব কুন্ড, কাজির চক, রাজবল্লভ ও পাশ্ববর্তী বজরা ইউনিয়নের সাদুয়া দামার হাট, বগলাকুড়া, বজরা হাট, কালপানি বজরা, চাঁদনী বজরাসহ বিস্তৃন্ন এলাকা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার আশংঙ্কা রয়েছে। এছাড়াও গ্রাম গুলোর হাজার-হাজার বাড়ি-ঘর ও আবাদি জমি হুমকির মুখে পড়বে। 

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোঃ রফিকুল ইসলাম জানান, টি-বাঁধটি রক্ষায় দ্রুততার সঙ্গে কাজ করার জন্য ৩জন ঠিকাদারের মাধ্যমে জিও ব্যাগ ফেলানোর কাজ চলছে। টি-বাঁধটি রক্ষায় গত ডিসেম্বরই বরাদ্দ চাওয়া হয়েছিল। এরপর তিনবার প্রস্তাবনা দিয়েও বরাদ্দ পাওয়া যায়নি। বর্তমানে বরাদ্দ পাওয়ায় তা দিয়ে দ্রুততার সাথে কাজ করা হচ্ছে। আশা করছি বাঁধটি রক্ষা করা যাবে।

আগামীনিউজ/জাহিদ/জেএস

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে
Small Banner