কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, বাড়ছে দূর্ভোগ। পানিবন্দী প্রায় ৫০ হাজার মানুষ।পানিতে তলিয়ে গেছে প্রায় ৫শ’ হেক্টর জমির আউশ, পাট, ভুট্টা, কাউন, চিনা ও শাকসবজির ক্ষেত। এছাড়াও নদী ভাঙনে ভিটেমাটি হারিয়েছে প্রায় ২ শতাধিক পরিবার।
সরেজমিনে দেখা যায়, কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের চরযাত্রাপুর এলাকার অধিকাংশ বাড়িতে বন্যার পানি প্রবেশ করছে। করোনার কারণে এমনিতেই কাজকর্ম নেই, তার উপর বন্যার আঘাতে বিপর্যদস্ত হয়ে পড়েছে বানভাসিরা। পাঁচগাছি ইউনিয়নের ইউনিয়নের পূর্বে দিক থেকে ব্রহ্মপূত্র নদের পানি এবং পশ্চিম দিক থেকে ধরলা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে দু’দিক থেকে হু-হু করে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করছে। তলিয়ে গেছে শত শত হেক্টর জমির সবজি ও আমন ক্ষেত। বন্যায় আঞ্চলিক সড়কগুলোতে পানি ওঠায় যাতায়াত সমস্যায় চরম দূর্ভোগে ভুগছে মানুষ।
এদিকে জেলার উলিপুর উপজেলার হাতিয়া, থেতরাই,চিলমারীর নয়ারহাট, কুড়িগ্রাম সদরের মোগলবাসা ও সারডোব এলকায় নদী ভাঙনে বিলিন হয়ে গেছে প্রায় ২ শতাধিক বাড়িঘর।
শনিবার(২৭ জুন) দুপুরে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম জানান, গত ২৪ ঘন্টায়, ধরলা নদীর পানি ৩৫ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৪৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অপরদিকে চিলমারী পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্রের পানি ৩৪ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৩৮ সে.মিটার এবং নুনখাওয়া পয়েন্টে ৩১ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ২৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়াও কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি ২৭ সে.মিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম জানান, ভাঙন কবলিত উপজেলা গুলোতে ৩০২ মে.টন চাল ও ৩৬ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে।ভাঙন কবলিতদের নিরাপদ আশ্রয়ে আনতে কাজ করছে উপজেলা প্রশাসন।
আগামীনিউজ/জাহিদ/জেএস