লক্ষ্মীপুরে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে। এ সময় মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী অর্ধশতাধিক লোক চোখে কালো কাপড় বেঁধে ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছেন। রবিবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে সামাজিক সংগঠন 'নিরাপদ নোয়াখালী চাই' এর উদ্যোগে ঘণ্টাব্যাপী এ আয়োজন করা হয়। এদিকে স্কুলছাত্রী হত্যার ঘটনায় শনিবার সকালে বিদ্যালয়ের সামনে প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের এক মানববন্ধনে দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে প্রশাসনকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু রবিবার বিকেল ৩টা পর্যন্ত ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে পুলিশ গ্রেপ্তার করতে পারেনি। তবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সন্দেহভাজন দুইজনকে আটক করা হয়েছে।
সদর মডেল থানা পুলিশ জানায়, শুক্রবার ঘটনার রাতেই নিহতের মা বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন। একইদিন সন্দেহভাজন হিসেবে আরিফ ও সুমন নামে দুই যুবককে আটক করা হয়। তাদেরকে থানা হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোসলেহ উদ্দিন। মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন নিরাপদ নোয়াখালী চাই এর চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম রাসেল, লক্ষ্মীপুরের সমন্বয়ক রিয়াজ উদ্দিন ও নিরাপদ সড়ক চাই এর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সাফায়াত সাকিবসহ স্বেচ্ছাসেবীরা। বক্তারা বলেন, স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনা খুবই বিভৎস। হত্যার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে। তা না হলে বৃহত্তর নোয়াখালীতে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।অন্যদিকে একই ঘটনায় জড়িতদের বিচারের দাবিতে সদর উপজেলার মির্জাপুর গ্রামে লক্ষ্মীপুর-রামগঞ্জ সড়কে স্থানীয় যুবকেরা মানববন্ধন করেছে। এ সময় তাদের হাতে থাকা প্লেকার্ডগুলোতে স্কুলছাত্রী হত্যার বিচার চেয়ে বিভিন্ন স্লোগান লেখা ছিল।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার দুপুরে ঘরে একা পেয়ে লক্ষ্মীপুরের পালেরহাট পাবলিক হাইস্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করে বিচারের দাবিতে মানববন্ধনসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আন্দোলন চলছে।
আগামীনিউজ/জেএস