1. প্রচ্ছদ
  2. জাতীয়
  3. সারাবাংলা
  4. রাজনীতি
  5. রাজধানী
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আদালত
  8. খেলা
  9. বিনোদন
  10. লাইফস্টাইল
  11. শিক্ষা
  12. স্বাস্থ্য
  13. তথ্য-প্রযুক্তি
  14. চাকরির খবর
  15. ভাবনা ও বিশ্লেষণ
  16. সাহিত্য
  17. মিডিয়া
  18. বিশেষ প্রতিবেদন
  19. ফটো গ্যালারি
  20. ভিডিও গ্যালারি

রবিশষ্যের ক্ষতির আশংকায় কৃষকের চোখে দুঃশ্চিন্তা

কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি  প্রকাশিত: মে ৪, ২০২০, ০৬:০৫ পিএম রবিশষ্যের ক্ষতির আশংকায় কৃষকের চোখে দুঃশ্চিন্তা

উপকূলীয় এলাকাসমুহে গত কয়েকদিনের আগাম বৃষ্টিতে রবিশষ্যর ক্ষতির আশংকায় দু:শ্চিন্তা গ্রস্ত হয়ে পড়েছেন কৃষককুল। অসময়ের বৃষ্টিতে রবিশষ্য ক্ষেতে পানি জমে যাওয়ায় নালা কেটে পানি নামাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন কৃষক। প্রকৃতির এ বিরুপ আচরণে বেশ কিছু এলাকার শাক-সবজি, মরিচ, ভুট্রা, মুগডাল, সূর্যমুখী, চিনা বাদাম ও মিষ্টিআলুর ক্ষেতে পানি জমে চারা নষ্ট হবার উপক্রম হয়েছে। পরিস্থিতির উত্তরনে মাঠ পর্যায়ে কৃষি বিভাগের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা কৃষককে পরামর্শ দিয়ে সহায়তা করছেন।

উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এ বছর কলাপাড়ায় ২০০০ হেক্টর জমিতে শাক-সবজির চাষ হয়েছে, ৫২০ হেক্টর জমিতে মরিচ, ৬২০ হেক্টর জমিতে ভুট্রা, ২০০০ হেক্টর জমিতে মুগ ডাল, ৮০ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী, ৫৫০ হেক্টর জমিতে চিনাবাদাম ও ১৫০ হেক্টর জমিতে মিষ্টিআলুর চাষ হয়েছে। গত ক’দিনের আগাম বৃষ্টিপাতে কৃষকের রবিশষ্যের ক্ষেতে ব্যাপক পানি জমে গেছে। এতে কৃষক ক্ষতির আশংকায় দিশেহারা হয়ে পড়েন। কৃষি বিভাগের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা কৃষকদের পরিস্থিতি উত্তরনে বিাভন্ন উপযোগী পরামর্শ দিচ্ছেন। 

কৃষি বিভাগ সূত্র আরও জানায়, অসময়ের বৃষ্টিপাতে শাক সবজি ক্ষেতের শতকরা ২০ ভাগ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার শংকা রয়েছে, মরিচ ক্ষেতের শতকরা ৩০ ভাগ, ভুট্রা ক্ষেতের শতকরা ৫ ভাগ, মুগ ডাল ক্ষেতের শতকরা ২০ ভাগ, সূর্যমুখী ক্ষেতের শতকরা ৩০ ভাগ, চিনাবাদাম ক্ষেতের শতকরা ২৫ ভাগ ও মিষ্টিআলু ক্ষেতের শতকরা ২৫ ভাগ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার শংকা রয়েছে। সময়মতো রবিশষ্যের ক্ষেত থেকে পানি নামাতে পারলে ক্ষতির পরিমান কমবে।

ধূলাসার ইউনিয়নের নতুন পাড়া গ্রামের কৃষক ইউনুস মেকার বলেন, গত কয়েকদিনের হঠাৎ বৃষ্টিতে মুগ ডাল ও চিনাবাদাম ক্ষেতে পানি জমে চারা নষ্ট হবার উপক্রম হয়েছে। রবিবার দিনভর ক্ষেতের নালা কেটে পানি নামানোর চেষ্টা করা হয়েছে। অনেক গাছের চারা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

লতাচাপলি ইউনিয়নের নয়াপাড়া গ্রামের কৃষক জলিল মাঝি বলেন, আগাম বৃষ্টিপাতে আমার ভুট্রা ক্ষেতে পানি জমে যায়। এরপর কৃষি বিভাগের পরামর্শে পানি নামাতে ক্ষেতে নালা কেটে দিয়েছি। এভাবে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে প্রচুর ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আ: মন্নান বলেন, আগাম বৃষ্টিপাতে কৃষকের রবিশষ্যের ক্ষেতে পানি জমে যাওয়ায় কৃষক অনেকটা দু:শ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। পরিস্থিতি উত্তরনে কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ে কৃষককে সব রকমের পরামর্শ ও সহযোগীতা প্রদান করছেন। তবে এখনই ক্ষতির পরিমান নির্ধারন করা যাবেনা। মাঠ পর্যায়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে রবিশষ্যের ক্ষয়-ক্ষতির পরিমান নিশ্চিত হওয়া  যাবে।

আগামী নিউজ/  মুরাদ/ তাওসিফ

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে
Small Banner