খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় বিজিবি-গ্রামবাসী সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত চারজনসহ ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেছে বিজিবি।
বৃহস্পতিবার (৫ মার্চ) সকালে ৪০ বিজিবির হাবিলদার ইসহাক আলী মাটিরাঙ্গা থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাত আরো ৬০/৭০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় এখনো এলাকার পরিস্থিতি থমথমে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
মাটিরাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামছূদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, বিজিবির দায়েরকৃত মামলায় সরকারি কাজে বাধা, অস্ত্র ছিনতাই, গুলি, হত্যা ও হত্যাচেষ্টার অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলায় নিহত চার গ্রামবাসীকেও আসামি করা হয়েছে।
এদিকে শুরু থেকেই পাঁচজন হত্যার ঘটনায় হাবিলদার ইসহাককে দায়ী করে আসছে স্থানীয়রা। তারা বলছেন, ইসহাক নিজেই বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যসহ স্থানীয়দের গুলি করেছে। এখন বিজিবির মামলার কারণে নিহতদের পরিবার ও স্থানীয় বাসিন্দারা মামলায় হয়রানির আশঙ্কা করছেন। তারা ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবি জানান।
খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, যেকোনো পক্ষ মামলা করতে পারে। আমরা তদন্ত কমিটি করেছি। কমিটি কীভাবে এ ঘটনা ঘটেছে, নিহতরা কোন ধরনের অস্ত্রের গুলিতে মারা গেছেন, কারা জড়িত সব তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে তদন্ত প্রতিবেদন দেবে। তার ওপর ভিত্তি করে আমরা পরবর্তী ব্যবস্থা নেবো।
এদিকে খাগড়াছড়িতে সফররত পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বলেছেন, মাটিরাঙ্গায় সংঘঠিত ঘটনায় যে পক্ষই মামলা করুক না কেন সঠিক তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের গ্রেফতার ও দায়ীদের বিচার করা হবে। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত পক্ষও চাইলে মামলা করতে পারেন।
খাগড়াছড়িতে পুলিশ অফিসার্স মেসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আইজিপি এসব কথা বলেন।
গত মঙ্গলবার (৩ মার্চ) খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলার গাজীনগর এলাকায় গাছ পরিবহনে বাধা দেয়াকে কেন্দ্র করে বিজিবি-গ্রামবাসী সংঘর্ষ ঘটে। এতে এক বিজিবি সদস্য (সিপাহী শাওন) ও চার গ্রামবাসী নিহত হন। এরমধ্যে তিনজন একই পরিবারের সদস্য।
আগামীনিউজ/হাসি