1. প্রচ্ছদ
  2. জাতীয়
  3. সারাবাংলা
  4. রাজনীতি
  5. রাজধানী
  6. আন্তর্জাতিক
  7. আদালত
  8. খেলা
  9. বিনোদন
  10. লাইফস্টাইল
  11. শিক্ষা
  12. স্বাস্থ্য
  13. তথ্য-প্রযুক্তি
  14. চাকরির খবর
  15. ভাবনা ও বিশ্লেষণ
  16. সাহিত্য
  17. মিডিয়া
  18. বিশেষ প্রতিবেদন
  19. ফটো গ্যালারি
  20. ভিডিও গ্যালারি

খোকসায় আমন ধানের নবান্ন, বাম্পার ফলন

কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি প্রকাশিত: নভেম্বর ৬, ২০২৩, ১০:৫৮ পিএম খোকসায় আমন ধানের নবান্ন, বাম্পার ফলন

কুষ্টিয়াঃ উন্নত প্রযুক্তি নির্ভর স্বল্প জীবনকাল ও বিনামূল্যে সার-বীজে আমন ধানের কৃষি বিপ্লব এসেছে কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলায়। ফলে আমন ধানের নবান্নের বাম্পার ফলন আশা করছে এখানকার স্থানীয় কৃষকরা। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মোতাবেক উপজেলায় আমন ধানের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬ হাজার ৭২৫হেক্টর জমিতে। বিনামূল্যে সার্ভিসে উন্নত প্রযুক্তি ও কৃষি বিভাগের বিভিন্ন পরামর্শই স্থানীয় কৃষকরা আবাদ করেছে লক্ষ্যমাত্রা থেকেও প্রায় আড়াইশো হেক্টর জমি বেশি। যেখানে আবাদ হয়েছে ৬ হাজার ৯৫০ হেক্টর জমিতে। 

হেমন্তের কুয়াশা ঢাকা সোমবার সকালে নবান্ন উৎসবের ধান কর্তনে মেতেছিল একদল কৃষক। কৃষকের মুখে হাঁসি আর কৃষানির ধান কুঠার গহনায় কৃষকের বাড়ি যেন এক আনন্দঘন পরিবেশ বিরাজ করছে। 

বর্ধমান জনশক্তির খাদ্যের ঘাটতিপূর্ণ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে সরকারের দেয়া বিনামূল্যে সার ও বীজ বিতরণ করা হয় ৭ শত কৃষকের মাঝে। 

বিরি ৭০,৭১,৭৫,৮৭,৯০,৯২,৯৩ ও ১০৩ জাতের স্বল্প মেয়াদকাল উন্নত জাতের বীজের আমন ধানের চাষ করে  উপজেলার কৃষকরা বাম্পার ফলন পেয়েছে। এরই মাঝে প্রায় ৩৫ শতাংশ কৃষকরা তাদের ধান ঘরে উঠাতে পেরেছে। যা বিঘাপতি ফলন হয়েছে বিশ থেকে বাইশ মন করে আমন ধান।

 

কথা হচ্ছিল গোপগ্রাম ইউনিয়নের কৃষক মাসুদ প্রামাণিকের সাথে তিনি বলেন উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে বিনামূল্যের পাঁচ কেজি হাইব্রিড ধান বিরি -৭৫ ও রাসায়নিক সার এক বিঘা জমিতে আবাদ করি। উন্নত জাতের এই ধান আবাদ করে আমি ২২ মন ধান পেয়েছি এক বিঘা জমি থেকে। 

 

জানিপুর ইউনিয়নের শেখপাড়া গ্রামের কৃষক আকামত আলী জানালেন হাইব্রিড ধান ৮৭ আবাদ করে ২০ মন ধন পেয়েছি।সেই সাথে স্বল্প মেয়াদী ১১০ দিনের মধ্যে ধান কেটে ওই জমিতে আবার সরিষা বীজের আবাদ করেছি অর্থাৎ অল্প সময়ের মধ্যে ধান কাটতে পেরে বাড়তি আরেকটি ফসলের আবাদ করতে পারছি। 

 

পৌরসভার মির্জাপুর গ্রামের কৃষক মইনুদ্দিন ও রফিকুল ইসলাম বললেন উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস থেকে বিনামূল্যে সার্ভিস ও পরামর্শ পেয়ে এবারে আমাদের ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে ওই জমিতে এখন আবার খেঁসারি  ডালের আবাদ করব। 

 

হাশিমপুর গ্রামের কৃষক সেলিম শেখ বলেন সরকারের সকল সুযোগ সুবিধা কাজে লাগিয়ে কৃষি প্রযুক্তি নির্ভর আমাদের উন্নত প্রশিক্ষণে আমরা কৃষক এখন আধুনিক হয়েছি আমন ধানের বাম্পার ফলন পেয়ে আমরাও খুশি হয়েছি। 

শোমসপুর ইউনিয়নের কৃষক এনামুল হক বলেন, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের সার্বিক তত্ত্বাবধানে সবার মতামতে আলোকপাতে রোমান পেরেক এছাড়াও বিভিন্ন উন্নতি প্রযুক্তি নির্ভর প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ৮৭ জাতের আমন ধানের বীজ বপন করে আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে আমাদের। ওই জমিতেই আমরা সরিষার আবাদ করতে পারবো বলে এখন মনে করছি। 

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সবুজ কুমার সাহা বললেন, পূর্ব থেকে উপজেলার সকল কৃষকদেরকে বিভিন্ন সময় উন্নত প্রযুক্তি নির্ভর প্রশিক্ষণ উন্নত জাতের বীজ ও রাসায়নিক সার বিনামূল্যে বিতরণ সহ উপজেলার প্রত্যেকটি প্রান্তে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে এবছর আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষক ধান কেটে এখন হাসিখুশি বলে বাড়িতে ফিরবে। কৃষি বিভাগের এমন ধারাবাহিকতায় স্থানীয় কৃষকরা আনন্দিত ও উচ্ছ্বসিত। 

 

হুমায়ুন কবির/এমআইসি 

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে
Small Banner