কুষ্টিয়াঃ কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার শিমুলিয়া ইউনিয়নের ৪ নাম্বার ওয়ার্ডের ফারজিনা ইয়াসমিন নিপা (২৮) নামের একটি (বুদ্ধি প্রতিবন্ধী) নারী মৃত্যু হয়েছে।
মিতু নিপা অবসরপ্রাপ্ত সেনার অফিসার সাবেদ আলীর কন্যা বলে জানা গেছেন। নিহত নিপা বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ছিলেন বলে জানান ৪ নং ওয়ার্ড মেম্বার আয়েন উদ্দিন।
নিহত নিপার ভাই মামুন জানান ৮ বছর আগে পারিবারিকভাবে সারজিনা ইয়াসমিন দীপা কে বিয়ে দেওয়া হয় রফিকুল ইসলাম রফিক নামে এক ছেলের সাথে। পারিবারিকভাবে তাদের সাথে বিয়ে বন্ধন পাঁচ বছর আগেই বিবাহ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এবং এ ব্যাপারে কুষ্টিয়া আদালতে একটা আদালতে মামলা হয়। সেই মামলায় সাবেক স্বামী রফিকুল কে দুই বছরের কারাদণ্ড এবং সাড়ে তিন লাখ টাকা জরিমানা করে বিজ্ঞ আদালত।
নিহত নিপার ভাই মামুন দাবি করলেন, মামলার আদেশের পেয়ে রাগান্বিত হয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে রফিক এবং তার রফিকের পরিবারের সদস্যরা মঙ্গলবার কালকে সন্ধ্যার সময় নিপাকে বাড়ি থেকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। রাত্রের কোন এক সময় নিপা কে হত্যা করে তাদের বাড়ির পাশে রেখে গেছে বলে জানায় থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও সি মোস্তফা হাবিবুল্লাহ।
নিহত দীপার মা ছেলে না পারভীন ফিরোজা জানান নিপার সাবেক স্বামী রফিকুল ইসলাম রফিক ও তার পরিবারের লোকেরা সুপরিকল্পিতভাবে তার মেয়েকে হত্যা করেছে। আমি আমার মেয়ে হত্যার রফিকের ফাঁসি চাই।
এ ব্যাপারে খোকসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও সি মোস্তফা হাবিবুল্লাহ জানান প্রাথমিক অবস্থায় ধারণা করা হচ্ছে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ফারজিনা ইয়াসমিন নিপাকে পরিকল্প তো হবে হত্যা করা হয়েছে তবে তার শরীরে কোথাও কোন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি লাশ পোস্ট মর্টেমের পাঠানোর জন্য মার্কেট প্রেরণ করেছি। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।