নেত্রকোনার মদনে কালবৈশাখী ঝড় ও শিলা বৃষ্টিতে ঘরবাড়ি বিধ্বস্তসহ নানা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। রোববার (২১ মে) বিকেলে প্রায় এক ঘণ্টার স্থায়ী ঝড়ে ভেঙে গেছে শতাধিক ঘরবাড়ি। এর সঙ্গে আম কাঁঠাল, লিচু, শাকসবজিসহ পাটের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
অপর দিকে গাছ ও ডালপালা ভেঙে উপজেলার বিভিন্ন রাস্তায় যানচলাচল বন্ধ রয়েছে। ঝড়ের পর থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ থাকায় সীমাহীন দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছে লোকজন।
উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। সেচ্ছাসেবক ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা রাস্তার ওপর থেকে গাছ ও ডালপালা সরিয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক করার চেষ্টা চালাচ্ছে। উপজেলা প্রশাসন মাঠ পর্যায়ে ঘুরে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করছেন।
মদন পৌরসদরে বাসিন্দা আব্দুল আওয়াল পলাশ, পাপড়িন আক্তারসহ অনেকেই বলেন, প্রায় এক ঘণ্টার কাল বৈশাখী ঝড়ে অনেক বাড়িঘর ভেঙে গেছে। ঝড়ের পর থেকে বিদ্যুৎ না থাকায় অনেক বাসা বাড়িতে পানি সরবরাহ বন্ধ থাকায় রান্নাবান্না বন্ধ রয়েছে। সারা উপজেলা বর্তমানে অন্ধকারে রয়েছে।
নেত্রকোণা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মদন জোনাল অফিসের ডিজিএম ফিরোজ হোসেন বলেন, ঝড়ে বিভিন্ন এলকায় বিদ্যুতের অনেক খুটি ভেঙে গেছে। আমার অফিসের লোকজন ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা কাজ করছে। বিদ্যুৎ ব্যবস্থা সচল করার জন্য চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান বলেন, ঝড় ও শিলা বৃষ্টিতে আম, কাঁঠাল, শাকসবজি ও পাটের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। রাত হয়ে যাওয়ায় মাঠ পর্যায় থেকে সঠিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা সম্ভব হয়নি। আগামীকাল ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যাবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহ আলম মিয়া বলেন, রোববার কাল বৈশাখী ঝড়ে ঘর-বাড়িসহ ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। শতাধিক ঘরবাড়ি ভেঙে যাওয়ায় তথ্য রাত পর্যন্ত সংগ্রহ করা হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস, বিদ্যুৎ বিভাগে,স্বাস্থ্য বিভাগ, কৃষি বিভাগসহ জনপ্রতিনিধিরা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানতে কাজ করে যাচ্ছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।
এসএস