নেত্রকোণাঃ সীমান্তবর্তী দুর্গাপুর উপজেলার লক্ষীপুর এলাকায় চোরাকারবারিদের সঙ্গে বিজিবি সদস্যদের সংঘর্ষে আমিনুল ইসলাম (২৮) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ সময় জায়দুল ইসলাম (৪০) নামে আরেক যুবক ও বিজিবির হাবিলদার মিনহাজ উদ্দিন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (৩১ মার্চ) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে বারোমারি লক্ষ্মীপুর সীমান্তে সুপারি পারাপারের সময় এ ঘটনা ঘটে। নেত্রকোণা ব্যাটালিয়নের (৩১ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ আরিফুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ থেকে ভারতে সুপারী পাচার এবং বিনিময়ে মাদক চালানের গোপন সংবাদ পেয়ে শুক্রবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে নেত্রকোণা ব্যাটালিয়ন (৩১ বিজিবি) অধীনস্থ বারোমারি বিওপি ক্যাম্প থেকে হাবিলদার মিনহাজ উদ্দিনের নের্তৃত্বে একটি টহল দল অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় লক্ষীপুর নামকস্থান থেকে একটি চোরাকারবারি দল মাথায় করে সুপারি ভারতে পাচার করছিল। বিজিবি সদস্যরা তখন চোরাকারবারিদের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলে তারা দেশীয় অস্ত্রাদি নিয়ে বিজিবি সদস্যদের আক্রমণ করে। এ সময় আত্মরক্ষার্থে হাবিলদার মিনহাজ উদ্দিন চোরাকারবারিদের উদ্দেশ্যে দুই রাউন্ড গুলি ছুড়লে আমিনুল ইসলাম ও জায়দুল ইসলাম গুলিবিদ্ধ হন। এ সময় আহত হন বিজিবির হাবিলদার মিনহাজ উদ্দিনও। পরে আহতদের দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে আমিনুল ইসলামকে মৃত ঘোষণা করেন দায়িত্বরত চিকিৎসক। নিহত আমিনুল ইসলাম লক্ষীপুর গ্রামের বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নিহত আমিনুলের মা কুলসুমা খাতুন বলেন, ‘আমার ছেলে দিনমজুরের কাজ করত। ওই এলাকার সুপারি ব্যবসায়িরা তাকে বর্ডারের কাছে সুপারির বস্তা মাথায় করে নিয়ে যেতে বলে। কিন্তু বিজিবির সদস্যরা কোনো কিছু না বলেই প্রথমে মারধর করে এবং প্রতিবাদ করলে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়।’
বুইউ