বরগুনাঃ বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে গিয়ে জলদস্যুর আক্রমনে নিখোঁজ হওয়া ৫ জনের মধ্যে ২ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে জেলেরা। বুধবার (১ মার্চ) দুপুরে গভীর সমুদ্র থেকে ভাসমান অবস্থায় মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়। মরদেহ দুটি নিয়ে বরগুনা উপকূলে রওয়ানা হয়েছে উদ্ধারকারী জেলেরা।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী। তিনি বলেন, জলদস্যুর আক্রমণে এফবি ভাই ভাই ট্রলারে থাকা আরও ২ জেলের মরদেহ উদ্ধার করেছে জেলেরা। তারা মরদেহ নিয়ে বরগুনা রওনা হয়েছে। তবে কিভাবে উদ্ধার হয়েছে তা জানা যায়নি এখনও। মরদেহটি দুটি ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে।
জানা যায়, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি রাতে পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ২৫-৩০ কিলোমিটার দূরে বঙ্গোপসাগরে বরগুনার এফবি ভাই ভাই নামে মাছ ধরার ট্রলারে আক্রমণ চালায় জলদস্যুরা। এসময় ট্রলারে থাকা ১৮ জেলের মধ্যে ৯ জনকেই কুপিয়ে জখম করে দস্যুরা, গুলিবিদ্ধ হয় একজন। বাকি জেলেরা জীবন বাঁচাতে সমুদ্রে ঝাঁপ দিয়ে নিখোঁজ হয়।
ঘটনার তিনদিন পর গত ২০ ফেব্রুয়ারি সমুদ্রে ভাসমান অবস্থায় ৪ জেলেকে জীবিত উদ্ধার করেন জেলেরা। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এদের মধ্যে একজন মৃত্যুবরণ করেন। এরপর নিখোঁজ অন্য ৫ জেলের মধ্যে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয় আজ।
এদিকে দীর্ঘদিন পর সাগরে পুনরায় জলদস্যু উৎপাতে আতঙ্কিত জেলেরা। এ বিষয়ে গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, যখন ডাকাতির ঘটনা ঘটে, তখন প্রশাসনের লোকজন নড়ে চড়ে বসে। তখন ডাকাত দমনে বিভিন্ন অভিযান করে। এরপর সাগরে প্রশাসনের আর তেমন কোন টহল থাকে না। তখন ডাকাতরা সুযোগ নিয়ে আবার ডাকাতি করে। সাগরের এই ডাকাতি বন্ধ করতে হলে র্যাবের টহল ছাড়া সম্ভব না। তাই সুন্দরবন ও পাথরঘাটায় র্যাবের স্থায়ী ক্যাম্প স্থাপন করার দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে কোস্টগার্ডের পাথরঘাটা স্টেশনের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট শাফায়েত আবরার বলেন, সমুদ্র থেকে নিখোঁজ দুই জেলের মরদেহের উদ্ধারের খবর আমরা পেয়েছি। এ ঘটনায় আইনগতভাবে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তরের জন্য আমরা সচেষ্ট রয়েছি। এবং সাগরে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আমাদের টহল অব্যাহত রয়েছে।
এসএস