ঢাকাঃ শেষ হেমন্তের বাতাসে বইছে শীতের আগমনী বার্তা,প্রকৃতিতে এখন কুয়াশা আর সূর্যের লুকোচুরি খেলা। কুয়াশাচ্ছন্ন ভোরের সূর্যদয়কে বরণ করে নিতে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে 'কুয়াশা উৎসব ১৪৩০'
'হারাবার আগে পায়ে মাখো শিশির, কুয়াশার মাঠে বাড়ুক প্রাণের ভিড়' স্লোগানে আগামী রোববার ও সোমবার (১০ ও ১১ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত হবে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণের কুয়াশা উৎসব।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা ক্যাম্পাসে হেমন্তের বিদায়লগ্নে শীতের সৌন্দর্য তুলে ধরতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে এমন বিচিত্র্যধর্মী অনুষ্ঠানের আয়োজন।এই কুয়াশা উৎসবকে ঘিরে গ্রাম-বাংলা থেকে হারিয়ে যাওয়া বিভিন্ন সংস্কৃতি যেমন গরুর গাড়ি, গ্রামীণ চালাঘর, খোলা আকাশের নিচে আগুন পোহানোর দৃশ্যসহ আরও নানা লোক ঐতিহ্য প্রদর্শিত হবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গনে। স্থান পাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের হাতে আঁকা চিত্রকর্ম, বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক পরিবেশনা ও আলোকচিত্র প্রদশর্নী।
আয়োজক কমিটির সদস্যরা জানান, ইতিমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে,বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে চলছে শেষ মুহূর্তের সাজ সজ্জার কাজ।
আয়োজক কমিটির সদস্য আহসানুল্লাহ নিপুন জানান, কুয়াশা উৎসব মূলত শীতকালে আয়োজন করা হয়। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের শীতকালীন ছুটি এবং নির্বাচনের কথা চিন্তা করে এবার উৎসবের তারিখ এগিয়ে নেওয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড.সৌমিত্র শেখর ক্ষুদে ভিডিও বার্তার মাধ্যমে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের কুয়াশা উৎসবের আঙ্গিনায় আমন্ত্রন জানিয়েছেন সকলকে। তিনি বলেন কুয়াশা উৎসব নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজের সৃষ্টি। আমরা চাই কুয়াশা উৎসব হবে সার্বজনীন এবং দেশব্যাপী।
উল্লেখ্য,দেশের একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘কুয়াশা উৎসব’ অনুষ্ঠিত হয়।এ নিয়ে তৃতীয়বার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে প্রাণের উৎসব। এই অনুষ্ঠানের ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে বলে আশা করছে আয়োজক কমিটি।
নাঈম আজাদ/এমআইসি