ঢাকাঃ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) উত্তরণ পরিবারের নতুন শৃঙ্খলা কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে সভাপতি হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী মাহমুদুল হাসান ইমন ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী আসাদুজ্জামান সিফাত দায়িত্ব পেয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৩ জুন) উত্তরণ পরিবারের উপদেষ্টামন্ডলীরা এ কমিটি ঘোষণার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে গত রোববার (১১ জুন) এ বাসের কমিটি ঘোষণা করা হয়।
কমিটিতে অন্যান্য পদে সিনিয়র সহ-সভাপতি হিসেবে মেহেদী হাসান শাকিল ও সুমাইয়া শারমিন এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে রাইসুল ইসলাম ও আব্দুর রহমান নাহিদ রয়েছেন।
রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে যাতায়াত করেন অনেক শিক্ষার্থী। শিক্ষার্থীদের জন্য বিভিন্ন রুটে প্রায় ২৬টি বাস চলাচল করে। মিরপুর ১৪, মিরপুর ১৩, মিরপুর ১০, ২, ১, আনসার ক্যাম্প, কল্যাণপুর, শ্যামলি ও জবি রুটে চলাচলকারী বাস হচ্ছে উত্তরণ।
উত্তরণ পরিবারের নতুন কমিটি নিয়ে সদ্য-সাবেক সভাপতি আসিফ নিলয় বলেন, বাসে যাতায়াতকারী বর্তমান সকল সদস্যের চাওয়া-পাওয়া বিশ্লেষণ করে এবং বাসের সাবেক সকল উপদেষ্টা মন্ডলীর অনুমোদনক্রমে নতুন কমিটি দেয়া হয়েছে। আশা করি তারা আমাদের এই বৃহৎ পরিবারকে সকলের সাথে মিলেমিশে সুশৃংখলভাবে পরিচালনা করবে।
নতুন কমিটি নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে উত্তরণ বাসে যাতায়াতকারী আই ই আর বিভাগ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ফাহাদ হোসাইন বলেন, নতুন কমিটি নিয়ে আমরা খুবই আশাবাদী,আনন্দিত এবং উচ্ছ্বাসিত। যারা যোগ্য, সকলে যাদেরকে চেয়েছে তাদের হাতেই দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে রেখে সুশৃঙ্খলভাবে সকল বাধা ভেঙে সকলকে একত্রে এগিয়ে যাওয়ার আহবান করছি। উত্তরণ পরিবারের পাশে সবসময় আমরা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ আছি।
নতুন কমিটির সভাপতি মো. মাহমুদুল হাসান ইমন বলেন, উত্তরণ পরিবারের সকলকে ধন্যবাদ আমার ও আমাদের পাশে থাকার জন্য৷ একই সাথে ধন্যবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক সংগঠন যারা আমাদের পাশে আছে। আশা করি উত্তরণ পরিবারের সকলকে সাথে নিয়ে আমরা দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাবো। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উত্তরণ পরিবার এর শৃঙ্খলা রক্ষার্থে আমি ও আমার কমিটির সকল সদস্য বদ্ধপরিকর।
সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান সিফাত বলেন, নতুন কমিটি হওয়ায় আমরা সবাই খুশি। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের শুরু থেকেই আমাদের বাসের সব সিনিয়র জুনিয়রদের বন্ডিংটা খুবই ভালো। বাসে সবাই বন্ধুসুলভ এবং ভার্সিটিতে ভর্তি হলে জুনিয়রা বাসে র্যাগিংয়ের যে ভয়ে থাকে সেটা এখানে একদম নেই। আমাদের বাস সিনিয়র, জুনিয়র, বন্ধুদের ভালোবাসার উজ্জ্বল উদাহারন। আশাকরি নতুন এ কমিটি বাসে চলাচলকারী সকল শিক্ষার্থীদের সুখে-দুঃখে পাশে থাকবে।
এমআইসি