শিশুপ্রহর দিয়েই শেষ দিনের মেলার প্রথম প্রহর শুরু হয়েছে। তবে তেমন একটা ভিড় ছিলো না।
শনিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) শিশু চত্বর সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, অন্যান্য দিনের তুলনায় এই চত্বরে লোক সমাগম অনেক কম। শিশু চত্বর মঞ্চে কিছুটা জটলা দেখা গেছে। সেখানে সিসিমপুরের ইকরি ও হালুমদের বিশেষ পরিবেশনা চলছিলো।
সকাল সাড়ে ১১টায় ইকরি ও হালুম শিশু মঞ্চে উঠলে তাদের বিশেষ পরিবেশনা আনন্দের সঙ্গে উপভোগ করে মেলায় আগত শিশুরা।
বই কেনা ও সিসিমপুরের পরিবেশনা দেখতে একমাত্র সন্তানকে মেলায় নিয়ে এসেছেন তানহা সরকার।
তিনি বলেন, বাচ্চাটা মূলত সিসিমপুর দেখতে এসেছে। ঘুরতে এসে পপআপ বই কিনলাম। সব মিলিয়ে ভালোই লাগছে ।
এদিকে, মেলায় আগত বেশিরভাগ শিশুকেই জ্ঞান-বিজ্ঞানের বই কিনতে দেখা গেছে।
শিশু প্রকাশের বিক্রয় প্রতিনিধি রিফাত বলেন, সাধারণত শিশুরা ভূত ও কল্পকাহিনীর বই বেশি কিনে। কিন্তু এবার জ্ঞান-বিজ্ঞানের বইও বেশ বিক্রি হচ্ছে।
অন্যান্য দিনের চেয়ে তুলনামূলকভাবে বিক্রি বেশি হয়েছে। কেননা যারাই মেলায় এসেছেন তাদের বেশিরভাগই বই কিনেছেন।
শিশুতোষ প্রকাশনী চলন্তিকা বইঘরের বিক্রয় প্রতিনিধি আনজুম তাসমিয়া বলেন, শেষ দিন হিসেবে লোক সমাগম অনেক কম। মেলার শেষের দিন জমায়েত কম হলেও বই বিক্রি হচ্ছে।
কারণ হিসেবে তিনি বলেন, আজ দর্শনার্থীদের থেকে পাঠক এসেছে বেশি। তাই বই বেশি বিক্রি হচ্ছে।
অমর একুশে গ্রন্থ মেলার সব আয়োজনই ফুরিয়ে যাবে আজ রাত নয়টায়। শেষ দিনের বইমেলায় তাই বিক্রির পাশাপাশি নিজেদের গুছিয়ে নিচ্ছেন স্টল মালিক ও প্রকাশকরা। সবার মাঝেই মিলন মেলা ছেড়ে যাবার একটা তাগিদ লক্ষ্য করা গেছে।
আগামীনিউজ/হাসি