ঢাকাঃ নারী-পুরুষের একে অপরের প্রতি আকর্ষণের চর্চা বহুযুগের। আকর্ষণ থেকেই ভালোবাসার সম্পর্ক গভীর হয়। এরপর তারা প্রণয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হয়। এভাবেই সারাজীবনের পথচলা। তবে শুধু জীবনসঙ্গীর প্রতিই আকৃষ্ট হয় তা কিন্তু নয়। এই আকর্ষণ স্বভাবগতভাবেই সব নারী-পুরুষের প্রতিই হয়। নারী-পুরুষের আকৃষ্ট হওয়ার কারণ কী, কোন বিশেষ বৈশিষ্ট্য এই আকর্ষণ বাড়িয়ে তোলে তা নিয়ে বিভিন্ন সময়ই গবেষণা চলছে।
বিজ্ঞানীরা জানান, এই আকর্ষণের তত্ত্বটা ভীষণই জটিল। প্রতিটি নারীর মধ্যেই কিছু বিষয় রয়েছে। তবে বেশিরভাগ নারীদেরই পুরুষদের ব্যবহারগত বৈশিষ্ট্য বেশি আকর্ষণ করে। পুরুষদের অভিব্যক্তি মার্জিত ও আকর্ষণীয় হলে নারীরা সহজেই আকৃষ্ট হয়ে পড়ে।
রাটগার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের মানববিজ্ঞানী হেলেন ই ফিশারও একই মত দিয়েছেন। তার বক্তব্য, জোর করে পুরুষের প্রতি নারীদের আকৃষ্ট করানো সম্ভব নয়। পুরুষের অভিব্যক্তি ও ব্যবহারের উপরই নারীদের পছন্দ-অপছন্দ নির্ভর করে।
রেড ফোর্ড ফিয়েস্তা এসটি ও সিলভার বেন্টলে কন্টিনেন্টাল জিটি-র সঙ্গে পুরুষদের ছবি নিয়ে একটি সমীক্ষা হয়। ২০১০ সালে ওয়েলস বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত ওই সমীক্ষায় দেখা যায়, রেড ফোর্ড ফিয়েস্তার সঙ্গে পুরুষদের ছবির তুলনায় এগিয়ে ছিলেন সিলভার বেন্টলে কন্টিনেন্টাল জিটি-র সঙ্গে ছবি তোলা পুরুষরা। কারণ তাদের ছিল বড় গাড়ি ও ভালো জামাকাপড়।
২০১০ সালে আরও একটি সমীক্ষা করা হয়। ৩৭৭০ জন প্রাপ্তবয়স্ককে নিয়ে করা এই সমীক্ষায় দেখা যায়, নারীরা বেশি বয়সের পুরুষের প্রতি বেশি আকৃষ্ট হয়।
ডান্ডি বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিদ এবং লেখিকা ফিয়োনা মুরে জানান, আর্থিক দিক থেকে সাবলম্বী নারীরা বেশি বয়সী ও প্রভাবশালী পুরুষদের প্রতি আকৃষ্ট হয়।
২০১৩ সালে নিউ সাউথ ওয়েলস বিশ্ববিদ্যালয়েরও পুরুষদের চেহারা ও বৈশিষ্ট্য নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়। ওই গবেষণায় দেখা যায়, নারীরা হালকা দাড়ির পুরুষদেরই পছন্দ করেছেন। তাছাড়া দয়ালু ও শান্ত স্বভাবের পুরুষরাই নারীদের বেশি আকৃষ্ট করে। শুধু তাই নয়, প্রাণোচ্ছল পুরুষরাও নারীদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে। বিপরীত দিকে পুরুষরাও দয়ালু এবং যত্নশীল নারীদের বেশি পছন্দ করেন।
এমবুইউ