ঢাকাঃ পেঁপে খুবই সুস্বাদু ও উপকারী একটি ফল। সহজলভ্য এবং কম দামে পাওয়া যায় বলে এর জনপ্রিয়তাও অনেক। পেঁপে কাঁচা ও পাকা দুই ভাবেই খাওয়া যায়। কাঁচা পেঁপে সালাদে ও রান্নায় এবং পাকা পেঁপে ফল হিসেবে খাওয়া যায়। পেঁপেতে ক্যালোরির পরিমাণ কম এবং পুষ্টি বেশি বলে যারা ওজন সমস্যায় ভুগছেন তাঁরা পেপে খেতে পারেন নিয়মিত।
এছাড়াও হজমের সমস্যা দূর করতে পেঁপে উপকারী। তবে যাদের ডায়াবেটিস আছে তাঁরা পাকা পেঁপের বদলে কাঁচা পেঁপে খান। কারণ পাকা পেঁপে খেলে ডায়াবেটিস বেড়ে যেতে পারে। ১০০ গ্রাম পাকা পেঁপেতে প্রোটিন ০.৬ গ্রাম, ফ্যাট ০.১ গ্রাম, মিনারেল ০.৫ গ্রাম, ফাইবার ০.৮ গ্রাম, কার্বোহাইড্রেট ৭.২ গ্রাম, খাদ্যশক্তি ৩২ কিলো ক্যালরি, ভিটামিন সি ৫৭ মিলিগ্রাম, সোডিয়াম ৬.০ মিলিগ্রাম,পটাশিয়াম ৬৯ মিলিগ্রাম, আয়রন ০.৫ মিলিগ্রাম আছে। আসুন জেনে নেয়া যাক পেঁপের খাওয়ার কিছু স্বাস্থ্য উপকারীতা;
পেঁপের উপকারিতাঃ পেঁপেতে থাকে প্রচুর পরিমাণ পেপসিন। এই পেপসিন হজমে সাহায্য করে। কাঁচা পেঁপেতে প্রচুর পরিমাণে প্যাপাইন নামক হজমকারী এনজাইম থাকে। যা অম্বল, কৃমি সংক্রমণ, আলসার, ত্বকে ঘা, কিডনি ও ক্যান্সার নিরাময়ে কাজ করে। পাকা পেঁপে ফল ও কাঁচা পেপে সবজি হিসেবে খাওয়া যায়।
ভিটামিন সমৃদ্ধঃ পেঁপের রয়েছে নানা গুণ। যাদের পেটে গোলমাল দেখা দেয়, তারা পেঁপে খেতে পারেন। অন্যান্য ফলের তুলনায় পেঁপেতে ক্যারোটিন অনেক বেশি থাকে। কিন্তু ক্যালরির পরিমাণ বেশ কম থাকায় যারা মোটা হয়ে যাচ্ছেন বলে চিন্তা করছেন পেঁপে খেতে পারেন অনায়াসে। এই ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ ও সি আছে।
পেপসিনের প্রভাবঃ কাঁচা পেঁপের খেলে লিভার সংক্রান্ত নানা সমস্যা দূর হয়। এর সঙ্গে খিদে বাড়ে। জন্ডিস হওয়ার সম্ভাবনা কমায়। অপরদিকে পেঁপের রসে এমন কিছু উপাদান আছে যা আমাশয়, অশ্ব, কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে সক্ষম। পেঁপে খেলে শরীর থেকে দূষিত বায়ু সহজেই বেরিয়ে যায়। কাঁচা পেঁপের তরকারি পথ্যের কাজ করে।
পেট ফাঁপায় উপশমঃ কয়েক টুকরো পাকা পেঁপের সঙ্গে একটু নুন এবং একটু গোলমরিচের গুড়ো একসঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারলে পেট ফাঁপার উপশম হয়।
ওজন কমাতেঃ পেঁপের মধ্যে খুব কম ক্যালোরি থাকে। এছাড়াও প্রাকৃতিক সুগার থাকে। তাই যারা ডায়াবেটিসে ভুগছেন তাঁরাও নিশ্চিন্তে পেঁপে খান। প্রতিদিন যদি একবাটি করে পেঁপে খান ওজন কমতে বাধ্য।
আগামীনিউজ/জেহিন