ঢাকাঃ যানবাহনের কালো ধোঁয়া, ধুলাবালি, ময়লা আবর্জনার দুর্গন্ধ- নানান কিছুতে শহরের বাতাস এখন দূষিত। ভোগান্তিতে পথাচারীরা। ঢাকার দূষণ কতটা বিপজ্জনক পর্যায়ে পৌঁছেছে, সেটি তুলে ধরেছে বৈশ্বিকভাবে বায়ুদূষণ পর্যবেক্ষণকারী আন্তর্জাতিক সংস্থা এয়ার ভিজ্যুয়াল। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এ প্রতিষ্ঠানের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, ঢাকা বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বায়ুর শহর।
বায়ু দূষণ থেকে বাঁচার উপায়: এই দূষণ থেকে বাঁচতে স্বাস্থ্য সচেতন শহরবাসী মুখ ঢেকে নিচ্ছেন মাস্কে। বসন্তে যেমন একটানা পাতা ঝরতে থাকে, আবার অতর্কিত ঝড়ে উড়তে থাকে ধুলা। এই ধুলা, এই শুকনো পাতায় ভর করে রোগজীবাণু ঘুরে বেড়ায় শহরে। আর বায়ুদূষণের অন্য উপাদানগুলো তো রয়েছেই। বায়ুবাহিত রোগ প্রতিরোধে এই মাস্ক হতে পারে মোক্ষম অস্ত্র।
স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আ ফ ম হেলাল উদ্দিন জানান, যাঁদের অ্যালার্জির সমস্যা আছে কিংবা শ্বাসকষ্টে ভুগছেন, তাঁরা ধুলাবালির সংস্পর্শে এলে দ্রুত উপসর্গগুলোর প্রকোপ বেড়ে যায়। তাই এ সময়ে মাস্ক ব্যবহার করাটা ভালো। এ ছাড়া গণপরিবহনে চলাচলের সময় মাস্ক ব্যবহার করলে অনেক সংক্রামক রোগ এড়ানো সম্ভব। দূষিত বাতাস এবং ধুলাবালি একদিকে যেমন ফুসফুসের সংকোচন–প্রসারণ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়, অন্যদিকে ফুসফুসের বায়ু ধারণক্ষমতা কমাতে থাকে। এসব এড়াতে অনেকেই এখন মাস্ক ব্যবহার করেন। তবে সঠিক মাস্কটি কি ব্যবহার করছেন? অস্বাস্থ্যকর এবং প্রায় বায়ুরোধী মাস্কে উল্টো না ক্ষতি হয়ে যায়।
আ ফ ম হেলাল উদ্দিন বলেন, বাজারে যেসব কাপড়ের তৈরি মাস্ক পাওয়া যায়, তার চেয়ে ডিসপোজিবল সার্জিক্যাল মাস্ক ব্যবহার করা ভালো। চাইলে কাপড়ের মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। তবে সে ক্ষেত্রে মাস্কটি কী ধরনের কাপড় দিয়ে তৈরি, সেটি যাচাই করে নিন। প্রতিদিন সেটি গরম পানিতে ধুয়ে ফেলার চেষ্টা করুন। সোয়াইন ফ্লু কিংবা বার্ড ফ্লুর মতো রোগের সংক্রমণ এড়াতে কিন্তু এই মাস্কগুলো যথেষ্ট নয়। প্রয়োজন ফিল্টারযুক্ত মাস্ক। সাধারণ সংক্রমণ প্রতিরোধে ব্যবহৃত সার্জিক্যাল মাস্কগুলো দেশের প্রায় প্রতিটি ওষুধের দোকানে পাওয়া যায়।
সূত্রঃ প্রথম আলো
আগামীনিউজ/ড্যানি