হঠাৎ গরমে জ্বর, সর্দি ও গলা ব্যথার সমস্যা স্বাভাবিক হলেও। করোনাকালে এটা যেন অস্বাভাবিক আর ভয়ের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। করোনাভাইরাসের আতঙ্কে ডাক্তারের কাছেও যাওয়া ভয়। কিছু ঘরোয়া উপায়ে এই সময় সাধারণ জ্বর, কাশি থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
জেনে নেয়া যাক উপায়গুলো-
১। মধু তুলসীপাতা: সর্দি, কাশি, জ্বরের সমস্যায় মধুর ব্যবহার বহু কাল আগে থেকে চলে আসছে। মধু আর তুলসীপাতা গলার কফ পরিষ্কার করে দেয়। সর্দিকাশি হলে প্রতি সকালে মধু আর তুলসীপাতা একসঙ্গে খেয়ে নিন। দেখবেন, কিছুক্ষণেই গলাটা পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে, আপনি আরাম পাচ্ছেন।
২। আদা চা: সর্দিতে নাক বন্ধ হওয়া থেকে মুক্তি পেতে আদা চা খেতে পারেন। আদা চা গলা ও বুকের কফ পরিষ্কার করে।
আদা চা বানানোর পদ্ধতি- ফুটন্ত পানি চিনি দিয়ে ফোটান। চিনি মিশে গেলে চা দিয়ে ফোটাতে হবে। এরপর এতে দিন আদার কুচি। অল্পক্ষণ পর ছাঁকনি দিয়ে ছেঁকে নিন চা। চাইলে এতে মেশাতে পারেন পাতিলেবুর অল্প রস। এটা চায়ের ভিটামিন সি যোগ করে। এই আদা চা খেলে সর্দির সময় মাথা ধরা কমে যায়। একইসঙ্গে দুর্বলতা কেটে গিয়ে শরীর চাঙ্গা হয়ে ওঠে।
৩। ভিটামিন: সর্দি, কাশি, জ্বর প্রতিরোধ করতে হলে ভিটামিনজাতীয় খাবার খাওয়া জরুরি। অনেকেই শরীরে ভিটামিন পেতে বেছে নেন ভিটামিন সাপ্লিমেন্টস। কিন্তু সবসময় ভিটামিন সাপ্লিমেন্টস না বাছলেও চলে। কিছু কিছু খাবার থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ বি সি ইত্যাদি। তাই খাবারের একটি ঠিকঠাক তালিকা তৈরি করার চেষ্টা করুন যাতে শরীরে সবধরনের ভিটামিন ঠিকমতো প্রবেশ করতে পারে। ভিটামিন শরীরের রোগ প্রতিরোধে অংশ নেয়। ফলে সর্দিকাশির মতো ছোটখাটো রোগগুলো সহজে কাবু করতে পারে না।
৪। তরল খাবার: সর্দি, কাশি একবার বুকে জমে গেলে তা বের করা কঠিন। এমনকি ঠিকমত চিকিৎসা না করাতে পারলে হতে পারে ইনফেকশনও। তাই সর্দিকাশির সময় কোনোভাবেই যেন বুকে কফ বসে না যায়। এর জন্য খেতে হবে প্রচুর পরিমাণে তরল খাবার। শুধু পানি খেতে হবে তার কোনো মানে নেই। বরং চলতে পারে ফ্রুট জুস বা স্যুপ জাতীয় খাবারও। এই তরল কফকে সহজে বুকে বসতে দেয় না। বরং বুকে থাকা কফকে তরল করে দিয়ে বেরিয়ে আসতে সাহায্য করে।
৫। বিশ্রাম : ফ্লু অনেকসময় ছোঁয়াচে হয়ে থাকে। ফলে আপনার ফ্লু হলে হতে পারে আপনার আত্মীয়স্বজনের। হয়তো আপনার ফ্লুও হয়েছে এমনভাবেই। তাই এইসময় জ্বর গায়ে বাড়ি থেকে কোথাও না বেরিয়ে বাড়িতেই বিশ্রাম নেওয়া ভালো। এতে সংক্রমণের আশঙ্কা কমে। এই সময় শরীর যথেষ্ট দুর্বল থাকে। তাই ঠিকঠাক বিশ্রাম নিতে প্রয়োজন পর্যাপ্ত ঘুমের। বাড়িতে যখন আছেন, চেষ্টা করুন পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমিয়ে নেয়ার। ঘুম ভাঙলে দেখবেন, শরীর অনেক চাঙ্গা লাগছে।
আগামীনিউজ/জেএফএস