ফাইল ছবি
কারোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে অনলাইনের ক্লাসের এই নতুন অভিজ্ঞতার কারণে শিশুদের মাঝে অনেক পরিবর্তন হতে পারে। এ সময় তাদের দিকে অভিভাবকদের খেয়াল রাখতে হবে। স্কুলের পড়াশোনা যখন বাসায়, তখন অবসাদ, হতাশাও কাজ করা স্বাভাবিক। তাই খেয়াল রাখতে হবে সেদিকেও।
অভিভাবকের করণীয় :
১/ ঘরেই আলাদা বসার জায়গা করে দিন সন্তানকে। অনলাইন ক্লাসে মনোযোগের জন্য সুন্দর পরিবেশও দরকার। বাড়িতে জায়গা কম থাকলেও অন্ততপক্ষে একটা চেয়ার টেবিল দিয়ে সন্তানের পড়ার জায়গা করে দিন।
২/ ল্যাপটপে ক্লাস করতে পারলে ভালো। এতে দেখতে ও পড়তে সুবিধা হয়। আর ফোনে ক্লাস করার সময়ে চোখে চাপ পড়ে বেশি।
৩/ বাড়িতে একটা ল্যাপটপ থাকার কারণে সমস্যা হতে পারে। তাই একাধিক জন একটি ল্যাপটপ ব্যবহার করলে সময় ভাগ করে নিন।
৪/সন্তানের অনলাইন ক্লাস করার সময় সন্তানের পাশেই বসে থাকুন। এতে সন্তানের মানসিক সাহস বাড়বে।
৫/ ভার্চুয়ালটাই সব নয় সারা দিন স্কুলে শিক্ষকদের সান্নিধ্যে, বন্ধুদের মাঝে হেসেখেলে শেখা আর ভার্চুয়াল জগতে শেখার মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। আর পড়া ও খেলার সময় সন্তানকে সময় দিন।
৬/অনলাইন ক্লাসের সঙ্গেই ভার্চুয়াল জগতের হাতছানি রয়েছে। তাই সাবধানতাও জরুরি। অনেকেই ক্লাসের ফাঁকে বা অনলাইন ক্লাস না হলেও ল্যাপটপে নেট সার্ফ করে। সন্তানের জন্য ক্ষতিকর এমন কিছু করছে কিনা খেয়াল রাখুন।
৭/ নতুন এই পদ্ধতির পড়াশোনা নিয়ে সন্তানের সঙ্গে আলোচনা করুন।
শিক্ষকরা যেমন নিজেদের আপডেট করছেন, অভিভাবককেও সে বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে। সমস্যা হলে স্কুলের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করুন।
তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
আগামীনিউজ/জেএস