ঢাকাঃ আগামীকাল ১০ জুলাই (রোববার) পালিত হবে পবিত্র ঈদুল আজহা। মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভের আশায় এদিন পশু কোরবানি দেবেন ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা। কোরবানি শব্দের অর্থ ত্যাগ, আত্মোৎসর্গ। পশু কিনে জবাই দিলেই কোরবানি হয় না। পশুটির যত্ন, সঠিক লালন-পালন করাও জরুরি।
ইতোমধ্যে অনেকেই কোরবানির উদ্দেশ্যে পশু কিনে ফেলেছেন। গ্রামে গবাদি পশুর খাবার নিয়ে খুব একটা ভাবনায় থাকা না লাগলেও, শহরের মানুষকে পড়তে হয় বাড়তি বিপত্তিতে। কী খাওয়াবেন, কী খাওয়ানো উচিত হবে না- তা বুঝে উঠতে পারেন না। পশুকে খাওয়ানো যায় এমন কিছু খাবার সম্পর্কে চলুন জেনে নিই।
খাবারের পরিবেশ নিশ্চিত করুন
পশুরা নিজের মালিককে চেনে। দীর্ঘদিন ধরে তাদের যে নিয়মে লালন-পালন করা হয়েছে তার ভিন্নতা দেখা দিলে তারা খেতে চায় না। পরিবেশ অনুকূলে না থাকলেও পশুরা খাবার মুখে তুলতে চায় না। তাই, সবার আগে পশুর জন্য খাবারের পরিবেশ নিশ্চিত করুন। সবচেয়ে ভালো হয় পশু কেনার সময় খামারি বা বিক্রেতার কাছ থেকে পশুর খাদ্যাভ্যাস সম্পর্কে জেনে নিলে। জোর করে খাবার খাওয়ানোর চেষ্টা করবেন না। অবলা পশুটিকে আদর করে খাবার খাওয়ান। বিভিন্ন রকম খাবার দিয়ে দেখুন, কোন খাবার সে আগ্রহ নিয়ে খাচ্ছে। সেই খাবার বেশি দিন।
পরিষ্কার পানি
গরু বা ছাগল দীর্ঘ সময় হাটে থাকে। অনেকটা পথ পাড়ি দিয়ে তাদের ঘরের সামনে আনা হয়। তাই পশু থাকে তৃষ্ণার্ত। এসব পশুকে সবার আগে পরিষ্কার পানি পান করতে দিন। পশুর মুখ ডোবাতে সুবিধা হবে এমন পাত্রে পানি পরিবেশন করুন। পশুরা অনেকসময় ঠান্ডা পানি খেতে চায় না। এক্ষেত্রে কুসুম গরম পানির সঙ্গে অল্প লবণ মিশিয়ে দিতে পারেন।
ভাতের মাড়
পশুদের প্রিয় খাদ্যের তালিকায় রয়েছে ভাতের মাড়। ভাতের মাড়ের সঙ্গে গমের ভুষি, চালের গুঁড়া বা সরিষার খৈল মেশাতে পারেন। ছাগলের ক্ষেত্রে অল্প পরিমাণ ভাতের সঙ্গে চালের গুঁড়া বা ভাঙা গম মিশিয়ে দিতে পারেন। গরুকে ভাতের মাড়ের সঙ্গে তাজা সবজির খোসা আর লবণ মিশিয়ে খেতে দিতে পারেন।
রেডি ফিড
পশুকে রুচিবর্ধক খাবার খেতে দিতে পারেন। বর্তমানে ভালো কোম্পানির রেডি ফিড পাওয়া যায়। এগুলো পশুরা খেয়ে থাকে। ওজনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ভালো কোম্পানির ফিড খাওয়ানো যেতে পারে।
খড়, ঘাস, পাতা
ঈদের আগে শহরে মৌসুমী পশু খাদ্য ব্যবসায়ীদের আনাগোনা দেখা যায়। তারা গরু ও ছাগলের বিভিন্ন খাদ্য বিক্রি করেন। অস্থায়ী এসব দোকানে ২০ থেকে ৩০ টাকায় খড়ের আঁটি পাওয়া যায়। ঘাস বিক্রি হয় আঁটির ঘনত্ব অনুযায়ী। অনেকে বিক্রি করেন কাঁঠাল পাতা। প্রয়োজন অনুযায়ী এসব খাবার কিনতে পারেন।
খাবার যাই হোক, তা যেন পশু স্বাচ্ছন্দ্যে খেতে পারে তা নিশ্চিত করুন। পশুর কোনো শারীরিক অসুস্থতা থাকলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।
এমবুইউ