আনন্দ হ্রাস হওয়া, অস্থিরতা বোধ, শক্তি হ্রাস হওয়া, বিরক্তি, কম ঘুম, খিদে কমে যাওয়া, আত্মহত্যার প্রবণতা থাকা এবং নিজেকে অযোগ্য মনে হওয়া এসব বিষণ্ণতার লক্ষণ। প্রতি ১০০ জনের মধ্যে ১০ জন মানুষ বিষণ্ণতায় ভোগেন এবং এ সংখ্যা প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
কিছু নির্দিষ্ট খাবার, ভেষজ ও খনিজ রয়েছে, যা প্রাকৃতিক প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে আর বিষণ্ণতা দূর করে। মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যায় যারা ভুগছেন, তারা এই প্রাকৃতিক উপায়গুলো থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
আসুন জেনে নিই চারটি প্রাকৃতিক প্রতিষেধক সম্পর্কে-
১. ফলিক অ্যাসিড মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে পারে। প্রতিদিন ফোলেট সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। ফোলেট সমৃদ্ধ খাবারের কয়েকটি উদাহরণ হলো– বিনস্, মসুর, বেশি পাতাযুক্ত সতেজ শাকসবজি, সূর্যমুখী বীজ, অ্যাভোকাডো ইত্যাদি।
২. জিঙ্ক পুষ্টি সমৃদ্ধ, যা জ্ঞান ও আচরণের মতো মানসিক কার্যগুলোর সঙ্গে যুক্ত। ১২ সপ্তাহে প্রতিদিন ২৫ মিলিগ্রাম জিঙ্ক গ্রহণ হতাশা হ্রাস করে।
৩. বিশেষজ্ঞের মতে, জাফরান মানসিক অসুস্থতার চিকিৎসা করে ও জাতীয় ব্যাধিগুলোর ঝুঁকি হ্রাস করে। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় জাফরান রাখতে পারেন।
৪. ল্যাভেন্ডার অ্যাসেনশিয়াল অয়েল স্ট্রেস ও উদ্বেগ হ্রাস করে। ল্যাভেন্ডার তেলের ব্যবহার মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
তথ্যসূত্র: বোল্ডস্কাই
আগামীনিউজ/হাসি