৩০ বছর আগে আলোচিত সগিরা মোর্শেদ হত্যা মামলার চার আসামি হত্যার ঘটনা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন এবং তারই সঙ্গে হত্যাকাণ্ডের জন্য আসামিরা অনুতপ্ত বলে আদালতকে জানিয়েছেন।
এ চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলায় অভিযোগপত্রে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পুলিশ পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম এ কথা উল্লেখ করেন। গত ১৬ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা অভিযোগপত্রটি আদালতে জমা দেন।
অভিযোগপত্রে তিনি আরো উল্লেখ করেন, সগিরা মোর্শেদকে হত্যার কথা স্বীকার করে ডা. হাছান আলী নিজে অনুতপ্ত জানিয়ে আদালতকে বলেন, ‘আমি অনুতপ্ত, সে কারণে সত্য প্রকাশ করলাম।’
অপর আসামি ডা. হাছান আলীর স্ত্রী সায়েদুতুল মাহমুদা ওরফে শাহিনও নিজে অনুতপ্ত হয়ে আদালতে স্বীকার করে বলেন, ‘আমি অনুতপ্ত হয়ে স্বেচ্ছায় এই কথাগুলো বললাম।’
আসামি ডা. হাছান আলীর শ্যালক আনাস মাহমুদ ওরফে রেজওয়ান হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত বলে স্বীকার করে আদালতকে বলেন, ‘আমি এ ঘটনার জন্য খুবই অনুতপ্ত ও দুঃখিত।’
হত্যাকাণ্ডের ভাড়াটিয়া খুনি আসামি মারুফ রেজা আদালতে হত্যার ঘটনা স্বীকার করে নিজেই এর জন্য অনুতপ্ত হয়ে বলেন, ‘আমি আমার পারিবারিক ও আত্মীয়স্বজনের প্রভাবে প্রতিপত্তি ও বয়সের কারণে ঘটনার সময়ে কোনো বিষয় পরিণতি চিন্তাভাবনা করিনি। যে কারণে সগিরা মোর্শেদের ঘটনাটি ঘটিয়েছি। এখন আমি দুই কন্যা সন্তানের জনক। আমার সুন্দর সংসার রয়েছে। আমি অনুতপ্ত, আমি অতীত ভুলের জন্য ক্ষমা চাচ্ছি।’
অভিযোগপত্রে তদন্ত কর্মকর্তা আরো উল্লেখ করেন, আসামিরা শিক্ষিত এবং হোয়াইট কালারের অপরাধী হওয়ায় তারা জামিন পেলে বাংলাদেশ ত্যাগ করে চির পলাতক হওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। সেজন্য আসামিদের বিচার সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার অভিযোগপত্রে জোর আবেদন জানান।
আগামীনিউজ/ নিআ/ হাসি/এনএনআর