ঢাকাঃ প্রতারণার মামলায় রিমান্ড শেষে সংগীতশিল্পী মাইনুল আহসান নোবেলকে আজ ফের আদালতে আনা হয়েছে। সোমবার (২২ মে) দুপুর ১২টায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পরিদর্শক হুমায়ুন কবির তাকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। অন্যদিকে তার আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল মামুন জামিন চেয়ে আবেদন করেছেন। এসময় নোবেলকে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শুনানি হবে।
তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পরিদর্শক হুমায়ুন কবির আবেদনে বলেন, আসামিকে হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে এই মামলার ঘটনা সংক্রান্ত বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে আসামির কাছ থেকে মামলা সংক্রান্ত কিছু তথ্য পাওয়া গিয়েছে। প্রাপ্ত তথ্যাদি মামলা তদন্তের স্বার্থে যাচাইবাছাই করা হচ্ছে। আসামির নাম ঠিকানা যাচাইবাছাইও প্রক্রিয়াধীন। আসামি জামিনে মুক্তি পেলে মামলার তদন্তে ব্যাঘাত সৃষ্টি হবে।
মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায় বিচারের স্বার্থে আসামিকে জেল হাজতে আটক রাখতে হবে বলে আবেদনে উল্লেখ করেন তিনি।
এর আগে গত ২০ মে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তার একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান গাইতে না গিয়ে এক লাখ ৭২ হাজার টাকা প্রতারণার অভিযোগে গত ১৬ মে রাজধানীর মতিঝিল থানায় শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ হেডকোয়ার্টার পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি ব্যাচ ২০১৬ এর প্রতিনিধি মো. সাফায়েত ইসলাম বাদী হয়ে মামলা করেন। পরদিন গত ১৭ মে আদালত এ মামলার এজাহার গ্রহণ করে আগামী ৯ জুলাই প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ২৮ এপ্রিল শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ হেডকোয়ার্টার পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি ব্যাচ ২০১৬ এর প্রথম পূর্ণমিলনী আয়োজন করা হয়। এ আয়োজনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান গাওয়ার আসামি মাইনুল আহসান নোবেলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। যোগাযোগের পর নোবেল তাদের রাজধানীর থানাধীন হিরাঝিল হোটেলের দ্বিতীয় তলায় যেতে বলে। গত ২৫ মার্চ মামলার বাদী সাফায়েত ইসলাম ও তার বন্ধু হাবিবুর রহমান দুজন সেখানে যান। এরপর পুনর্মিলনী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান গাওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়। আলোচনা শেষে গান গাওয়ার জন্য মোট এক লাখ ৭৫ হাজার টাকা ঠিক করা হয়। তখন নোবেলকে নগদ ১৫ হাজার টাকা দেয়া হয়৷ এসময় নোবেল অনুষ্ঠানের পূর্বেই অবশিষ্ট টাকা পরিশোধ করতে হবে বলে জানান এবং তার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট দেন।
মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, এসএসসি ব্যাচের সদস্যদের থেকে টাকা সংগ্রহ করে গত ৩০ মার্চ সিটি ব্যাংক এটিএম বুথ শরীয়তপুর ব্রাঞ্চ থেকে ৪৭ হাজার টাকা পাঠানো হয়। এরপর গত ১৪ এপ্রিল একই ব্রাঞ্চ থেকে এক লাখ ১০ হাজার টাকা নোবেলের অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়। অনুষ্ঠান উপলক্ষে তাকে সর্বমোট এক লাখ ৭২ হাজার টাকা প্রদান করা হয়। ব্যাংক থেকে টাকা তুলে অনুষ্ঠানে যাওয়ার কথা ছিল। তবে নোবেল জেনে শুনে অনুষ্ঠানে না গিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করেন।
বুইউ