ঢাকাঃ যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে নির্যাতন, মারধর ও বাসা থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগে ক্রিকেটার আল-আমিন হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য ৫ মার্চ দিন ধার্য করেছেন আদালত।
বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮-এর ভারপ্রাপ্ত বিচারক হাবিবুর রহমান সিদ্দিকী এ দিন ধার্য করেন।
এ মামলার অভিযোগ গঠনের জন্য আজ দিন ধার্য ছিল। এদিন ক্রিকেটার আল-আমিন আদালতে হাজিরা দেন। এদিন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ছুটিতে থাকায় ভারপ্রাপ্ত বিচারক নতুন দিন ধার্য করেন। সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী মোখলেসুর রহমান বিষয়টি জানিয়েছেন।
এর আগে, মামলার অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় গত ২ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতাউল্লাহ আদালতে এ অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মিরপুর মডেল থানার পরিদর্শক সোহেল রানা। আদালত অভিযোগপত্র দেখিলাম বলে স্বাক্ষর করেন। মামলাটির পরবর্তী বিচারের জন্য ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এ বদলির আদেশ দেন।
গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর নির্যাতন ও মারধরের অভিযোগ এনে ক্রিকেটার আল আমিনের বিরুদ্ধে তার স্ত্রী ইসরাত জাহান একটি লিখিত অভিযোগ করেন। পরের দিন তদন্ত ও যাচাই-বাছাই শেষে মিরপুর মডেল থানা পুলিশ ইসরাত জাহানের অভিযোগটি মামলা আকারে নথিভুক্ত করে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১২ সালের ২৬ ডিসেম্বর পারিবারিকভাবে ক্রিকেটার আল-আমিন হোসেনের সঙ্গে ইসরাত জাহানের বিয়ে হয়। এ দম্পতির দুই সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকে এ পর্যন্ত সংসারকালে পারিবারিক বিষয় নিয়ে আল-আমিন তার স্ত্রী ইসরাতের কাছে ফ্ল্যাটের মূল্য পরিশোধ বাবদ ২০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন।
ইসরাতের বৃদ্ধ বাবা যৌতুকের টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে আল-আমিন তাকে মারধর করে বাসা থেকে বের করে দেন। বেশ কয়েকবার মারধর করার পর তিনি (ইসরাত) আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি নেন। কিন্তু দুই সন্তানের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে পারিবারিকভাবে আপস-মীমাংসা করে নেন। এতে আল-আমিন শান্ত না হয়ে দিনের পর দিন তার ওপর অত্যাচারসহ শারীরিক নির্যাতন অব্যাহত রাখে।
মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, গত ২৫ আগস্ট আল-আমিন তার স্ত্রীর কাছে যৌতুকের দাবি করা টাকা নিয়ে বাগবিতণ্ডায় জড়ান। তার স্ত্রী টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে তাকে এলোপাতাড়ি কিল, ঘুসি ও লাথি মেরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করেন। আল-আমিন জানিয়ে দেন, তার (ইসরাত) সঙ্গে সংসার করবেন না, তাকে তালাক দেবেন এবং মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির হুমকি দেন। পরে ইসরাতের চাচা তাকে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা করান। চিকিৎসা শেষে বাসায় ফিরলে আল-আমিন তার সঙ্গে আগের মতো আচরণ করতে থাকেন।
বুইউ