ঢাকাঃ বড়, মাঝারি ও ছোট এই তিন ক্যাটাগরিতে জেলাগুলোকে ভাগ করে সরকারি আইন কর্মকর্তাদের (পিপি ও জিপি) বেতন বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের তৃতীয় ও শেষ দিনের চতুর্থ অধিবেশন শেষে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক সাংবাদিকদের এ কথা জানান। আইন ও বিচার বিভাগ, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ এবং ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ডিসিদের এই কার্য-অধিবেশন হয়।
মন্ত্রী বলেন, ‘পিপি ও জিপিদের (সরকারি কৌঁসুলি) বেতন ছিল ২ হাজার ও ৩ হাজার টাকা, সেটাকে আমরা এখন বাড়িয়েছি। আমার প্রস্তাব, ৬৪ জেলাকে ৩টি ভাগে- বড়, মাঝারি ও ছোট জেলায় ভাগ করে বেতন কাঠামো প্রস্তুত করা হবে। বড় জেলার পিপির বেতন হবে ৫০ হাজার টাকা, মাঝারি জেলার ৪৫ হাজার ও ছোট জেলার পিপির বেতন হবে ৪০ হাজার টাকা।’
এ সময় কর্মকর্তাদের সেভাবে বেতন কাঠামো প্রস্তাব করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘কতগুলো অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রসিকিউটর এবং অ্যাডিশনাল প্রসিকিউটর ও অ্যাডিশনাল জিপি থাকবেন সেটাও নির্ণয় করা হবে কী কী কোর্ট আছে সেটার ওপর নির্ভর করে। সে জন্য ২৬৭ কোটি টাকা আমরা অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে চেয়েছি, তারা বরাদ্দ দিতে রাজি হয়েছে। আমার মনে হয়, আগামী নির্বাচনের পরে যেই সরকারে আসুন না কেন, তারা এটা অবশ্যই বিবেচনা করবেন।’
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, আমি মনে করি, তাদের একটি সম্মানজনক অবস্থানে আনার জন্য এই বেতন কাঠামো বদলানো অত্যন্ত প্রয়োজন। প্রথমবারের মতো আমরা তাদের বেতন বাড়িয়ে ১৫ হাজার ও ১২ হাজার টাকা করেছি।
আমরা একটি ইন্ডিপেন্ডেন্ট প্রসিকিউশন সার্ভিস চালু করার পরিকল্পনা নিয়েছি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে ৩০ শতাংশ স্থায়ী নিয়োগ দেওয়া হবে। বাকি ৭০ শতাংশ প্রচলিত ব্যবস্থার মতো নিয়োগ দেওয়া হবে।’
এই উদ্যোগ বাস্তবায়ন নির্বাচনের পরে হবে কি-না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করব এখনই করার জন্য। জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে।’
এ সময় প্রটেকশন অ্যাক্ট কন্ট্রোল করার জন্য না, বরং প্রটেক্ট করার জন্য বলেও আশ্বস্ত করেন তিনি।
আইনমন্ত্রী বলেন, ডেটা প্রটেকশন অ্যাক্ট নিয়ে যখন সেমিনার হচ্ছিল তখন বলেছিলাম, এটা কন্ট্রোল করার জন্য না, প্রটেক্ট করার জন্য। সেই নীতি অনুসারে ডেটা প্রটেকশন অ্যাক্ট হবে। সবার সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে করা হবে।
তথ্য-উপাত্ত সংরক্ষণ আইন প্রসঙ্গে আনিসুল হক বলেন, ‘আমরা অবশ্যই এই আইনটি সংসদে নেব। যেভাবে আইন পাস হয়, ঠিক সেই প্রক্রিয়ায় হবে কিন্তু তার মানে এই নয় যে, স্টেকহোল্ডার যারা আছেন এবং ডেটা প্রটেকশন অ্যাক্ট সম্পর্কে যাদের বক্তব্য আছে তাদের কথা শোনা হবে না।’
বুইউ