ঢাকা : কামরাঙ্গীরচরে অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র কাউসার হত্যা মামলায় স্বামী-স্ত্রীসহ চারজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার (২০ জানুয়ারি) বিকালে ঢাকার ৭ম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. নজরুল ইসলাম এ আদেশ দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- আলতাফ হোসেন ও তার স্ত্রী ফরিদা, জামির আলী এবং শাহজাহান। তিন আসামির উপস্থিততে এ রায় ঘোষণা করেন আদালত। এই মামলায় মৃত্যুদন্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামি জামির আলী পলাতক রয়েছে।মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ‘২০১২ সালের ১৬ মে সকাল থেকে ১৭ মে বিকালের যে কোন সময় তারা টাকার জন্য নিহত কাউসারকে অপহরণ করা হয়। আসামি আলতাফ হোসেন ও ফরিদার বাসায় খাটের নিচে তাকে আটকে রাখে। এরপর কাউসারের বাবার কাছে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ চায় তারা। এ ঘটনায় কাউসারের পরিবার কামরাঙ্গীরচর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে।
একপর্যায়ে পরিবারের লোকজন ১৯ মে নবাবগঞ্জে অপহরণকারীদের হাতে মুক্তিপণের টাকা তুলে দেন। কিন্তু অপহরণকারীরা কাউসারকে ফেরত দেয়নি। ২৬ মে এ ঘটনায় অপহরণের মামলাটি করা হয়। মামলাটি দায়ের করার পরে মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশে তদন্তের জন্য স্থানান্তর করা হয়।
এ মামলায় প্রথম দিকে কয়েকজনকে গ্রেফতার করলেও পরে তারা জামিনে মুক্তি পায়। এরপর অপহরণকারীরা ইব্রাহিমের কাছে আরও এক লাখ টাকা দাবি করে। এর মধ্যে আসামি মো. জামিরকে গ্রেফতার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আলতাফ, তার স্ত্রী ফরিদা ও শাহজাহানকে গ্রেফতার করে ডিবি। তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী প্রায় তিন মাস পর ১৮ আগস্ট দুপুরে কাউসারের বাসার সীমানার কাছে মাটি খুঁড়ে তার দেহাবশেষ উদ্ধার করা হয়। জিনস প্যান্ট ও গেঞ্জি দেখে ওই দেহাবশেষ কাউসারের বলে শনাক্ত করেন স্বজনেরা।
গ্রেফতার হওয়া আসামিরা জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে জানায়, অপহরণের পরপরই চেতনানাশক ওষুধ প্রয়োগে কাউসারকে অচেতন করা হয়। পরদিন বিকেলে চেতনা ফিরে এলে আবারও তাকে চেতনানাশক ওষুধ প্রয়োগ করা হয়। রাতে সে জেগে উঠলে জামির ও ফরিদা তার পা চেপে ধরে এবং আলতাফ বুকের ওপর বসে। শাহজাহান তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে। অপহরণের পরদিন ১৭ মে রাতেই কাউসারকে শ্বাসরোধে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।
আগামীনিউজ/নিআ/এস