ঢাকাঃ বিএনপির প্রচার সম্পাদক ও ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানীসহ দলটির পাঁচ নেতাকে কারাগারে ডিভিশন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বিএনপি প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী ছাড়া অন্যান্যরা হলেন-চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, গাজীপুর বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক মিলন ও দলটির নির্বাহীর কমিটির সদস্য বরিশালের আবুল হোসেন।
রোববার (১৮ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে এ বিষয়ে আদেশ দেন।
আদালতে আজ রিটের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট এ জে মোহাম্মদ আলী, সিনিয়র অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার এবিএম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
গত ১৪ ডিসেম্বর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের পর দলটির আরও পাঁচ নেতাকে কারাগারে ডিভিশনের সুযোগ সুবিধা দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। তাদের পক্ষে আইনজীবীরা এ রিট আবেদন করেন।
এর আগে বেশকিছু দাবিতে দেশের বিভাগীয় শহরগুলোতে সমাবেশ করে বিএনপি। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৭ ডিসেম্বর বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এতে একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। আহত হন অনেকে। পরে বিএনপি কার্যালয়ে অভিযান চালানো হলে সেখানে অনেক ককটেল পাওয়ার কথা জানায় পুলিশ।
এ ঘটনায় পল্টন থানার উপ-পরিদর্শক মিজানুর রহমান বাদী হয়ে গত ৭ ডিসেম্বর মামলা করেন। মামলায় ৪৭৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত দেড় থেকে ২ হাজার বিএনপির নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়। এ মামলায় মির্জা ফখরুল, মির্জা আব্বাসসহ বিএনপির শীর্ষ নেতাদের গ্রেফতার দেখানো হয়।
ওই মামলায় গত ১২ ডিসেম্বর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ২২৪ নেতা-কর্মীর জামিন নামঞ্জুর করেন আদালত। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিনের আদালত এ আদেশ দেন।
বুইউ