ঢাকাঃ সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে সরকারি নথি ‘চুরির চেষ্টার’ অভিযোগে ‘অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টে’ করা মামলায় কোনো সত্যতা পায়নি গোয়েন্দা পুলিশ। এজন্য মামলা থেকে তাকে অব্যাহতি দিয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছে তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবির পুলিশ পরিদর্শক মোরশেদ আলম খান।
বুধবার (২৬ অক্টোবর) সংশ্লিষ্ট আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক নিজামুদ্দিন ফকির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, গত ৪ জুলাই গোয়েন্দা পুলিশ সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে মামলার দায় হতে অব্যাহতির আবেদন করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে। আগামী ১৫ নভেম্বর এ মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণের বিষয়ে শুনানি হবে।
২০২১ সালের ১৭ মে দুপুরের পর স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিবের একান্ত সচিব মো. সাইফুল ইসলাম ভূঞার কক্ষে রোজিনা ইসলামকে প্রায় সাড়ে ৫ ঘণ্টা আটকে রাখা হয়। পরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে তাকে শাহবাগ থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের একজন উপসচিব তার বিরুদ্ধে মামলা করেন। সেখানে তার বিরুদ্ধে ১৮৬০ সালের দণ্ডবিধির ৩৭৯ ও ৪১১ ধারায় চুরি এবং ১৯২৩ সালের ‘অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট’র ৩ ও ৫ ধারায় গুপ্তচরবৃত্তি ও রাষ্ট্রীয় গোপন নথি নিজের দখলে রাখার অভিযোগ আনা হয়।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, রোজিনা যেসব নথির ‘ছবি তুলেছেন’, তার মধ্যে ‘টিকা আমদানি’ সংক্রান্ত কাগজপত্রও ছিল।
এমইউ