ঢাকাঃ গায়ক ইলিয়াস হোসাইনের বিরুদ্ধে যৌতুকের জন্য নির্যাতনের অভিযোগে করা মামলা ১০ লাখ টাকায় পারিবারিকভাবে আপস করেছেন অভিনেত্রী শাহ হুমায়রা হোসেন সুবাহ।
বুধবার (২৭ জুলাই) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক আবেরা সুলতানা খানম এ মামলা থেকে আসামি ইলিয়াসকে খালাস দেন।
এর আগে, সোমবার (২৫ জুলাই) পারিবারিকভাবে তাদের আপস মীমাংসা হয়েছে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক সাবেরা সুলতানা খানমের আদালতে সাক্ষ্য দেন। এরপর বিচারক মামলাটি আজ (২৭ জুলাই) আসামির আত্মপক্ষ শুনানি, যুক্তিতর্ক উপস্থাপন এবং রায়ের জন্য দিন ধার্য করেন।
এর আগে, মঙ্গলবার (২২ মার্চ) গায়ক ইলিয়াস হোসাইনের জামিন শুনানির দিন ধার্য ছিল। কিন্তু অসুস্থতার কারণে আদালতে হাজির হতে পারেনি বলে তার আইনজীবী সময় চেয়ে আবেদন করেন। তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭-এর ভারপ্রাপ্ত বিচারক জুলফিকার হায়াত ইলিয়াসের জামিন বাতিল করে তার গ্রেফতারি পরোয়ানার আদেশ দেন।
এর আগে, ৩ জানুয়ারি বনানী থানায় মামলা করেন সুবহা।
মামলায় অভিযোগে বলা হয়, গত বছর সেপ্টেম্বরে সুবহার সঙ্গে ইলিয়াসের পরিচয়। এরপর তাদের মাঝে প্রেমের সম্পর্কে গড়ে ওঠে। গত ১ ডিসেম্বর তারা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। বিয়ের সময় সুবহার পরিবারের পক্ষ থেকে ইলিয়াসের চাহিদা অনুযায়ী ১২ লাখ টাকার রোলেক্স ব্র্যান্ডের ঘড়িসহ ১৫ লাখ ৭৫ হাজার টাকার পণ্য দেওয়া হয়। কিন্তু এতেও ইলিয়াস সন্তুষ্ট হননি। এর মাঝে সুবহা জানতে পারেন ইলিয়াসের একাধিক বিয়ে রয়েছে এবং অসংখ্য প্রেমের সম্পর্ক চলমান। এরই মাঝে ইলিয়াস সুবহার কাছে ফ্ল্যাট কেনা বাবদ ৫০ লাখ এবং গাড়ির জন্য আরও ৩০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন।
অভিযোগে আরও বলা হয়, গত ৯ ডিসেম্বর ইউটিউব চ্যানেল কেনার জন্য সুবহার মায়ের কাছে আরও ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন ইলিয়াস। এরপর তাকে আড়াই লাখ টাকা দেয় সুবহার পরিবার। পরে ২৭ ডিসেম্বর দুপুরে ফ্ল্যাট ও গাড়ি কেনার জন্য ৮০ লাখ টাকার জন্য সুবহাকে চাপ দেওয়া হয়। এ নিয়ে তাদের মাঝে ঝগড়া হয়। এরই জেরে রাত ৮টার দিকে তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেন ইলিয়াস। পরদিন আবারও ৮০ লাখ টাকা যৌতুক চান। এই টাকা দিতে না চাইলে ইলিয়াস সুবহাকে জখম করেন। এরপর ইলিয়াস সুবহাকে ওষুধ খাইয়ে অজ্ঞান করেন। এই সুযোগে ইলিয়াস আলমারিতে থাকা ২০ লাখ টাকার স্বর্ণালংকার এবং ৫০ হাজার টাকা নিয়ে যান। এদিকে সুবহার অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এমবুইউ