ঢাকাঃ দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ময়লার গাড়ির চাপায় নটর ডেম কলেজের শিক্ষার্থী নাঈম হাসানের মৃত্যুতে তার পরিবারকে পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দিতে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। রিটে তার বাবাকে আপাতত ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে বলা হয়েছে।
রোববার (২৮ নভেম্বর) ‘জন অধিকার ফাউন্ডেশন’ নামে একটি সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক ও ঢাকা আইনজীবী সমিতির সদস্য পারভীন আক্তার এ রিট করেন। গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন প্রতিবেদন যুক্ত করে পারভীন আক্তারের পক্ষে রিট করেন আইনজীবী মনোজ কুমার ভৌমিক।
রিট আবেদনটি সোমবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের বেঞ্চের কার্যতালিকায় রয়েছে।
আবেদনে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব, বিআরটিএ চেয়ারম্যান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও মহাব্যবস্থাপককে (যানবাহন) বিবাদী করা হয়েছে।
অন্তবর্তীকালীন ৫০ লাখ টাকা ছাড়াও নাঈমের পরিবারকে পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে রিটে।
উল্লেখ্য, গত ২৪ নভেম্বর বেলা ১১টা ২০ মিনিটে পল্টন মডেল থানার গুলিস্তান বঙ্গবন্ধু স্কয়ার গোল চত্বরের দক্ষিণ পাশে নাঈম হাসান (১৮) রাস্তা পার হওয়ার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে। ওই সময় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের একটি ট্রাক (ঢাকা-মেট্রো-শ-১১-১২৪৪) বেপরোয়া গতিতে নাঈমকে ধাক্কা দেয়। ওই সময় গাড়িচালক ছিলেন রাসেল খান।
এরপর নাঈমকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) নেওয়ার পর জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাকে দুপুর পৌনে ১২টায় মৃত ঘোষণা করেন।
দুর্ঘটনা ঘটিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় এলাকার টহল পুলিশ ও পথচারীরা ময়লার গাড়িচালক রাসেল খান ও গাড়ির ভেতরে থাকা পরিচ্ছন্নতাকর্মী গোলাম রব্বানী ও বেলালকে আটক করে।
সেখান থেকে পুলিশ তাদের হেফাজতে নেয় ও ময়লার গাড়ি জব্দ করে। মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন ও ময়নাতদন্ত শেষে তা পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। নিহতের বাবা শাহ আলম দেওয়ান বাদী হয়ে এ ঘটনায় মামলা করেছেন। রাসেল ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নিয়োগপ্রাপ্ত চালক নয়। গাড়িটির নিয়োগপ্রাপ্ত চালক হারুন রাসেল খানকে বদলি হিসেবে চালাতে দেন। গ্রেফতার চালক রাসেল খান ড্রাইভিং লাইসেন্স দেখাতে পারেনি।
এদিকে নাঈমের মৃত্যুর পর থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ করে দুর্ঘটনায় জড়িত প্রকৃত আসামির বিচারের দাবি জানিয়ে আসছে শিক্ষার্থীরা।
আগামীনিউজ/বুরহান