ঢাকাঃ ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক’, হজের এই ধ্বনিকে গানের মধ্যে বিকৃতভাবে তুলে ধরে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে বাংলাদেশের ‘মেঘদল’ ব্যান্ডের নামে ঢাকার সিএমএম আদালতে করা মামলা প্রত্যাহার করা হয়েছে।
রোববার (৭ নভেম্বর) আদালতে মামলার বাদী অ্যাডভোকেট ইমরুল হাসান মামলা প্রত্যাহারের আবেদন করেন। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মইনুল ইসলাম বাদীর আবেদনটি গ্রহণ করেন।
এর আগে গত ২৮ অক্টোবর ব্যান্ডের কণ্ঠশিল্পী (ভোকাল) শিবু কুমার শিলসহ সাতজনের নামে ইমরুল হাসান নামের এক আইনজীবী এ মামলা করেন। সেদিন আদালত বাদীর জবানবন্দি নিয়ে রবিবার আদেশের জন্য দিন রেখেছিলেন। সে অনুযায়ী ঢাকা মহানগর হাকিম মইনুল ইসলাম গতকাল পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) অভিযোগ তদন্ত করে ১ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- ব্যান্ডের আরেক কণ্ঠশিল্পী (ভোকাল) মেজবা-উর রহমান সুমন, গিটার বাদক ও কণ্ঠশিল্পী রাশিদ শরীফ শোয়েব, বেজ গিটার বাদক এমজি কিবারিয়া, ড্রামস বাদক আমজাদ হোসেন, কিবোর্ডের তানভির দাউদ রনি ও বাঁশি বাদক সৌরভ সরকার।
মামলায় বলা হয়, ২৬ অক্টোবর সকালে ইউটিউবের একটি ভিডিও তার নজরে আসে। সেখানে হজরত মুহাম্মদ (স)-এর একটি দোয়া ইসলামে নিষিদ্ধ বাদ্যযন্ত্রের সঙ্গে বিকৃত সুরে গান আকারে অশ্রদ্ধার সঙ্গে উদ্দেশ্যমূলকভাবে মাতালের মতো গাওয়া হচ্ছে। এ দোয়া বা হাদিস বা প্রার্থনা প্রত্যেক মুসলমানের কাছে বিশুদ্ধ ও পবিত্র। এ দোয়া বা প্রার্থনা সাধারণত হজের সময় বিনয়ের সঙ্গে শ্রদ্ধাভক্তি নিয়ে পাঠ করা হয়। গানের অনুষ্ঠানটি টিএসসি ভাস্কর্যের সামনে করা হয় এবং পেছনে সাইনবোর্ড আকারে লেখা ছিল সহিংসতা। গানের মধ্যে আরও দেখা যায় যে, কালিমার অংশও গানের তালে পাঠ করা হয়। এ গান বাদীর ধর্মানুভূতিতে আঘাত হেনেছে।
মামলায় আরও বলা হয়, বাদী মেঘদলের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করায় পরে তিনি কদমতলী থানায় মামলা করতে যান। তবে থানা কর্তৃপক্ষ মামলা না নিয়ে তাকে আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
আগামীনিউজ/বুরহান