ঢাকাঃ রাজধানীর কলাবাগান থানায় অর্থপাচার আইনে করা মামলায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান এসপিসি ওয়ার্ল্ড এক্সপ্রেসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আল-আমিনের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) আল আমিনকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নুর তার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে সোমবার (৪ অক্টোবর) ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান এসপিসি ওয়ার্ল্ড এক্সপ্রেসের সিইও আল-আমিন ও তার স্ত্রী শারমিন আক্তারকে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর কলাবাগান থানায় করা মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কারাগারে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির এসআই (নি.) সোহানূর রহমান। অপরদিকে তাদের আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মোহাম্মদ জসীম তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। তারও আগে রোববার (৩ অক্টোবর) রাতে রমনা এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গত ২৬ আগস্ট কলাবাগান থানায় তাদের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন সিআইডির এসআই (নিরস্ত্র) নাফিজুর রহমান।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, এসপিসি ওয়ার্ল্ড এক্সপ্রেস লিমিটেড নামে ই-কমার্স ব্যবসার আড়ালে আসামিরা অনুমোদনহীন মাল্টি-লেভেল মার্কেটিং (এমএলএম) ব্যবসা পরিচালনা করেন। তারা বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছ থেকে বিভিন্নভাবে টাকা নেওয়ার জন্য নানা প্রলোভন দেখিয়ে টাকা সংগ্রহ করেন। এরপর কোম্পানির হিসাব থেকে এক কোটি ১৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করে মানিলন্ডারিং করেছেন।
এর আগে ই-কমার্সের নামে এমএলএম ব্যবসা ও প্রতারণার অভিযোগে ২০২০ সালে আল আমিনসহ প্রতিষ্ঠানটির ছয়জনকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ।
ওই সময় জানানো হয়, এসপিসি ২২ লাখ গ্রাহকের কাছ থেকে ২৬৮ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। তবে গ্রেফতারের দুই মাসের মধ্যেই জামিনে বের হয়ে আসেন আল আমিন। আবারও নতুন উদ্যমে শুরু করেন ব্যবসা। এবার সিআইডি তাদের গ্রেফতার করলো। নিজেদের ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান দাবি করলেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা জানান, এসপিসি মূলত একটি এমএলএম প্রতিষ্ঠান।
আগামীনিউজ/বুরহান