ঢাকাঃ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ রাসেল এবং তার স্ত্রী প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে গ্রেফতারের পর ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৭ সেপ্টম্বর) দুপুর ২টার দিকে তাদের আদালতে হাজির করা হয়। এসময় তাদের আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়।
থানা সূত্রে জানা গেছে, ইভ্যালির রাসেল-শামীমাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের বিরুদ্ধে ১০ দিনের রিমান্ড চাইবে পুলিশ।
এর আগে শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে তাদেরকে পৃথক দুটি গাড়িতে গুলশান থানায় নেওয়া হয়। সাদা রঙের একটি হায়েস মাইক্রোবাসে ইভ্যালির সিইও মোহাম্মদ রাসেলকে ও অপর একটি গাড়িতে চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে নেওয়া হয়। এসময় রাসেল জিন্স প্যান্ট ও সাদা রঙের একটি গেঞ্জি এবং তার স্ত্রী শামিমা সালোয়ার কামিজ পরা ছিলেন।
এদিকে বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৫টা ২০ মিনিটে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেলকে মোহাম্মদপুরের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। ৪০৩ কোটি টাকা দেনা থাকা ইভ্যালির দুই কর্ণধারকে নেওয়া হয় র্যাব সদরদপ্তরে। সেখানেই চলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ। পরে শুক্রবার তাদেরকে প্রতারণার মামলায় গুলশান থানায় হস্তান্তর করে।
র্যাব সূত্রে জানা যায়, গুলশান থানার দায়ের হওয়া মামলার পরিপ্রেক্ষিতে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদের র্যাব সদরদফতর নিয়ে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গুলশান থানায় দায়ের হওয়ায় মামলায় গ্রেফতারদের হস্তান্তর করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ইভ্যালির সিইও মো. রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে গুলশান থানায় মামলা হয়। আরিফ বাকের নামে ইভ্যালির এক গ্রাহক মামলাটি দায়ের করেন। মামলার নম্বর- ১৯।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আরিফ বাকের গত ২৯ মে ও জুন মাসের বিভিন্ন সময়ে ইভ্যালিতে মোটরসাইকেলসহ বেশ কয়েকটি পণ্য অর্ডার করেন। এগুলো ৭ থেকে ৪৫ কার্যদিবসের মধ্যে দেওয়ার কথা থাকলেও তারা (ইভ্যালি) দেয়নি। ইভ্যালির কাস্টমার কেয়ারে ফোন দিয়ে সমাধান পাওয়া যায়নি। অফিসে গিয়ে তাদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বললে খারাপ ব্যবহার করেছে। প্রতিষ্ঠানটির সিইও রাসেলের সঙ্গেও দেখা করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন বাকের। তার সঙ্গে ইভ্যালি চরম দুর্ব্যবহার করেছে।