Dr. Neem on Daraz
Victory Day

রায়ের আগ মুহূর্তে যা বললেন রিফাতের বাবা-মা ও বোন


আগামী নিউজ | ডেস্ক রিপোর্ট প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২০, ১০:০৫ এএম
রায়ের আগ মুহূর্তে  যা বললেন রিফাতের বাবা-মা ও বোন

ছবি সংগৃহীত

ঢাকাঃ দেশের বহুল আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ডের রায় কিছুক্ষণের মধ্যেই। আজ বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকালে বরগুনা জেলা দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আসাদুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করবেন।

মামলার ১০ আসামিরই সর্বোচ্চ শাস্তি হবে- এমন প্রত্যাশা রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলিদের। অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা আশা করছেন, সব আসামির বেকসুর খালাস। রায়ে কী সিদ্ধান্ত আসছে তা জানতে মূলত সেদিকেই সবার দৃষ্টি সবার।

রায়কে সামনে রেখে রিফাতের বোন ইসরাত জাহান মৌ বলেন, আমরা দুই ভাই-বোন। আমার বাবার আর কোনো ছেলে নাই। স্বাভাবিক কারণেই ভাইকে হারিয়ে আজ আমাদের পরিবার নিঃস্ব। ভাই আমার ছিল কলিজার টুকরা। সে ছিল আমার সাহস ও ভরসা। তারপরও আমরা ভাইয়াকে তো আর ফিরে পাব না। তবে মিন্নিসহ সব খুনির দৃষ্টান্তমূলক সাজা হলে কিছুটা শান্তি পাব। ভাইয়ার আত্মাও শান্তি পাবে। ভাইয়ের হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ সাজা চাই মাননীয় আদালতের কাছে।

মামলার বাদী রিফাতের বাবা আবদুল হালিম দুলাল শরীফ বলেন, দেশের বিচার ব্যবস্থার ওপর আমাদের আস্থা আছে। আদালত রিফাতের খুনের সঙ্গে জড়িতদের এমন শাস্তি দিক যাতে আমরা স্বস্তি পাই। ছেলেটার আত্মা যেন শান্তিতে ঘুমায়।

রিফাতের মা ডেইজি আক্তার বলেন, ‘আমি সব আসামির ফাঁসি চাই। এমন জঘন্য হত্যাকাণ্ড যেন আর না হয়। আমার মতো আর কোনও মায়ের বুক যেন খালি না হয়।’ 

প্রাপ্তবয়স্ক আসামিরা হলেন—রাকিবুল হাসান রিফাত ফরাজি (২৩), আল কাইউম ওরফে রাব্বি আকন (২১), মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত (১৯), রেজওয়ান আলী খান হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয় (২২), মো. হাসান (১৯), মো. মুসা (২২), আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি (১৯), রাফিউল ইসলাম রাব্বি (২০), মো. সাগর (১৯), ও কামরুল ইসলাম সাইমুন (২১)।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে নয়ন ও তার সহযোগী সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে রামদা দিয়ে কুপিয়ে রিফাত শরীফকে গুরুতর আহত করে। এরপর বীরদর্পে অস্ত্র উঁচিয়ে এলাকা ত্যাগ করে তারা। গুরুতর আহত রিফাত বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ওই দিনই মারা যান।

গত ১ সেপ্টেম্বর রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় রিফাতের স্ত্রী মিন্নিসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দুই ভাগে বিভক্ত অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দেয় পুলিশ। একইসঙ্গে রিফাত হত্যা মামলার এক নম্বর আসামি নয়ন বন্ড বন্দুকযুদ্ধে নিহত হওয়ায় তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

গত ১ জানুয়ারি রিফাত হত্যা মামলার প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আদালত। অন্যদিকে, গত ৮ জানুয়ারি রিফাত হত্যা মামলার অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন বরগুনার শিশু আদালত।

এ মামলার চার্জশিটভুক্ত প্রাপ্তবয়স্ক আসামি মো. মুসা এখনও পলাতক রয়েছেন। এছাড়াও নিহত রিফাতের স্ত্রী মিন্নিসহ অপ্রাপ্তবয়স্ক ৮ আসামি উচ্চ আদালত এবং বরগুনার শিশু আদালতের আদেশে জামিনে রয়েছেন।

আগামীনিউজ/জেহিন

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে