ঢাকাঃ ২৮ অক্টোবরের পর থেকে ৮৩৭ মামলায় বিএনপির ৭৩ হাজার ১২৩ জনকে আসামি করা হয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয় ২০ হাজার ৩২৬ জনকে। এক সাংবাদিকসহ ১৭ জন নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম।
বুধবার (২৯ নভেম্বর) সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির দক্ষিণ হলে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামাল লিখিত বক্তব্যে এ তথ্য জানান।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ফোরামের সভাপতি ও সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী, ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল প্রমুখ।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, গত ২৮ অক্টোবর বিএনপিসহ বিরোধীদের মহাসমাবেশে সরকার ও সরকারি দলের পরিকল্পিত সহিংসতা ও নাশকতার নজিরবিহীন দুঃখজনক ঘটনাবলীর পর এই পর্যন্ত ৮৩৭ এর অধিক হয়রানিমূলক গায়েবি মামলায় ২০ হাজার ৩২৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আসামি করা হয়েছে ৭৩ হাজার ১২৩ জন বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীকে। আহত হয়েছেন ৮২৪৯ জনের অধিক নেতাকর্মী। নিহত হয়েছেন একজন সাংবাদিকসহ বিএনপির ১৭ জন। আর ৩৫টি মিথ্যা মামলায় গত তিন মাসে ৬৩৬ নেতাকর্মীকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে। ২০০৯ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত এক লাখ পঞ্চাশ হাজারেরও অধিক মামলায় বিএনপি ও বিএনপির সহযোগী গণসংগঠনসমূহের ৫০ লাখের বেশী নেতাকর্মী-সমর্থকদের আসামি করা হয়েছে।
লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, বর্তমান সরকারের বেআইনি গ্রেপ্তার, হয়রানি থেকে দেশের সাধারণ মানুষ-রাজনৈতিক কর্মীদের আইনি সহায়তার পথ রুদ্ধ করতেই এই অবৈধ ফ্যাসিস্ট সরকার আইনজীবীদের হয়রানি ও গ্রেপ্তার করছে; যা আইনের শাসন, মানবাধিকার ও সংবিধান পরিপন্থি। বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের আত্মীয় স্বজন, অসুস্থ, পঙ্গু এমনকি অপ্রাপ্তবয়স্কদেরও গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। দেশব্যাপী বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়ি ঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, লুটপাট ও ভাঙচুর করা হচ্ছে। এমনকি গভীর রাতে বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়িঘরে প্রবেশ করে জোরপূর্বক অর্থ আদায় করা হচ্ছে।
আইনজীবী সমাজ বর্তমান গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের চলমান সংগ্রামে অংশ নেওয়া বিরোধী দল, বিরোধী মত ও বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের ওপর সরকারের জঘন্যতম ও নজিরবিহীন নিপীড়ন বন্ধ করে গ্রেপ্তার হওয়া সব আইনজীবীর মুক্তি দাবি করছি এবং আইনজীবী সমাজের বিরুদ্ধে দায়ের করা সব রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি। সেই সঙ্গে চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনে গ্রেফতার হওয়া বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মির্জা আব্বাস ও আমির খসরু মাহমুদসহ সব রাজনৈতিক বন্দির মুক্তি ও মিথ্যা মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহারের জোর দাবি জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।
এমআইসি