ঢাকাঃ বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়র প্রার্থী মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করিমের ওপর হামলা নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের বক্তব্যকে দায়িত্বহীন ও কুরুচিপূর্ণ আখ্যায়িত করে ৫০০ কোটি ক্ষতিপূরণ চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়াও লিগ্যাল নোটিশে তাকে পদত্যাগ করতেও বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২২ জুন) মেয়র প্রার্থী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীমের পক্ষে ইসলামী আইনজীবী পরিষদের নেতা ও সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আব্দুল বাসেত প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে এ লিগ্যাল নোটিশ পাঠান। আগামী সাত দিনের মধ্যে এ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে আইনি প্রতিকার চেয়ে রিট আবেদন করা হবে।
লিগ্যাল নোটিশের বিষয়টি নিশ্চিত করেন আইনজীবী নিজেই।
তিনি জানান, বরিশাল সিটি নির্বাচনে আহত হওয়ার পর সিইসির দেওয়া বক্তব্য ‘উনি (হাত পাখার প্রার্থী) কি ইন্তেকাল করেছেন?’ সম্বলিত খবরটি যুক্ত করা হয়েছে।
নোটিশে বলা হয়েছে, মুফতি ফয়জুল করিম কেবল বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী সৈয়দ পরিবারের সন্তানই নন; তিনি একজন ধর্মীয়, আধ্যাত্মিক, রাজনৈতিক ব্যক্তি এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির হিসেবে দেশ ও বিদেশে তার লাখ লাখ ভক্ত ও অনুসারী রয়েছে। ভোট কারচুপিতে বাধা দেওয়ার কারণে তার ওপর হত্যার উদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবে হামলার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আপনার বক্তব্য দায়িত্বজ্ঞানহীন, অযাচিত, কুরুচিপূর্ণ, অমানবিক, বেআইনি ও অনৈতিক। যার ফলে, আমার মোয়াক্কেলের শারীরিক, মানসিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক অপূরণীয় ক্ষতি সাধিত হয়েছে। এর জন্য আপনিই দায়ী। এছাড়া তার মর্যাদা ও সুনামের অবর্ণনীয় ক্ষতি হয়েছে। তার আনুমানিক ক্ষতির পরিমাণ ৫০০ কোটি টাকা।
নোটিশে বলা হয়, সাতদিনের মধ্যে উপরিউক্ত দায়িত্ব জ্ঞানহীন, কুরুচিপূর্ণ, বিবেকহীন, অনৈতিক বক্তব্য প্রত্যাহার করে ক্ষমা প্রার্থনা ও কৈফিয়ত দেবেন। পাশাপাশি জাতীয় দৈনিক পত্রিকা এবং প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় প্রকাশ করবেন। একই সময়ের মধ্যে আমার ক্ষতিপূরণ বাবদ ৫০০ কোটি টাকা প্রদান করে আপনি ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার’ পদ হতে পদত্যাগ করবেন। অন্যথায় প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বিরুদ্ধে দেশের প্রচলিত আইনে উপযুক্ত আদালতে প্রয়োজনীয় সব ধরনের আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে নির্বাচন করেন মুফতী সৈয়দ ফয়জুল করিম। ওই নির্বাচনের দিন ফয়জুল করিম হামলার শিকার হন। পরে সাংবাদিকরা এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিইসি বলেন, তিনি হামলার শিকার হয়েছেন। কিন্তু মারা তো যাননি।
বুইউ