Dr. Neem on Daraz
Victory Day

ডেসটিনি : সাবেক সেনাপ্রধান হারুনসহ ৪৬ জনের সাজা বাড়াতে চায় দুদক


আগামী নিউজ | নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: জুন ১১, ২০২২, ০২:১৮ পিএম
ডেসটিনি : সাবেক সেনাপ্রধান হারুনসহ ৪৬ জনের সাজা বাড়াতে চায় দুদক

ঢাকাঃ গ্রাহকদের অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারের মামলায় ডেসটিনির ৪৬ জনের সাজা বাড়াতে হাইকোর্টে আবেদন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

শনিবার (১১ জুন) দুদকের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. খুরশিদ আলম খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ডেসটিনির প্রেসিডেন্ট হারুনসহ ৪৬ জনের সাজা বাড়ানোর আবেদন প্রস্তুত করা হয়েছে। আগামীকাল (রোববার) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে এই আবেদন দাখিল করব।

খুরশিদ আলম জানান, সবাই সংঘবদ্ধ অপরাধ করলেও শুধুমাত্র ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল আমিনের সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া হয়েছে। বাকি ৪৬ জনকে কম সাজা দেওয়া হয়েছে। তাই বাকিদের সাজা বাড়াতে আবেদন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক।

গত ১২ মে গ্রাহকের অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারের দায়ে ডেসটিনি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল আমীনকে ১২ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়। কিন্তু একই মামলায় কোম্পানির প্রেসিডেন্ট সাবেক সেনাপ্রধান হারুন-অর-রশিদকে চার বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

ঢাকার চতুর্থ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ নাজমুল আলম এই রায়ে ৪৬ আসামির সবাইকে দোষী সাব্যস্ত করে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়ার পাশাপাশি ২ হাজার ৩০০ কোটি টাকা জরিমানা করেছেন।

ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি ও ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের নামে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে তা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে ২০১২ সালের ৩১ জুলাই রফিকুলসহ ডেসটিনির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে রাজধানীর কলাবাগান থানায় মামলা দুটি করা হয়। দুই মামলায় মোট ৪ হাজার ১১৯ কোটি ২৪ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগ আনা হয়।

তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ৫ মে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক। এর মধ্যে ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির মামলায় ৪৬ জন এবং ডেসটিনি ট্রি প্লানটেশন লিমিটেডে দুর্নীতির মামলার ১৯ জনকে আসামি করা হয়। রফিকুলসহ ১২ জনের নাম দুটি মামলাতেই রয়েছে। দুই মামলায় মোট আসামির সংখ্যা ৫৩। আসামিদের মধ্যে কারাগারে আছেন ডেসটিনির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন ও এমডি রফিকুল আমীন।

মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির নামে ডেসটিনি বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ১ হাজার ৯০১ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছিল। সেখান থেকে ১ হাজার ৮৬১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ করা হয় বলে দুদকের অনুসন্ধানে উঠে আসে। এই অর্থ আত্মসাতের কারণে সাড়ে আট লাখ বিনিয়োগকারী ক্ষতিগ্রস্ত হন।

অপর মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, ২০০৮ সাল থেকে ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশনের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ২ হাজার ৪৪৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করা হয়। এর মধ্যে ২ হাজার ২৫৭ কোটি ৭৮ লাখ ৭৭ হাজার টাকা আত্মসাৎ করা হয়। এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হন সাড়ে ১৭ লাখ বিনিয়োগকারী।

এমবুইউ

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে