Dr. Neem on Daraz
Victory Day

বিচারক কামরুন্নাহারের ক্ষমতা প্রত্যাহার, আদালতে না বসার নির্দেশ


আগামী নিউজ | আদালত ডেস্ক প্রকাশিত: নভেম্বর ১৪, ২০২১, ১০:৩৫ এএম
বিচারক কামরুন্নাহারের ক্ষমতা প্রত্যাহার, আদালতে না বসার নির্দেশ

ছবিঃ সংগৃহীত

ঢাকাঃ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭-এর বিচারক মোছা. কামরুন্নাহারকে আদালতে না বসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ  সকাল সাড়ে ৯টা থেকে আদালতে না বসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

রোববার (১৪ নভেম্বর) সকালে সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল অফিসার স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রধান বিচারপতি ও সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ বিচারপতিরা আলোচনাক্রমে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক বেগম মোছা. কামরুন্নাহারকে রোববার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে হতে আদালতে না বসার নির্দেশ দিয়েছেন। তার ফৌজদারি বিচারিক ক্ষমতা সাময়িকভাবে প্রত্যাহার করে তাকে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগে সংযুক্ত করার জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

এর আগে গত ১১ নভেম্বর দেশে আলোচিত বনানীর রেইনট্রি হোটেলে দুই শিক্ষার্থী ধর্ষণের মামলার রায় ঘোষণার পর পর্যবেক্ষণে আদালত পুলিশের উদ্দেশে ৭২ ঘণ্টা পর যদি কেউ ধর্ষণের মামলা করতে যায়- তা না নেওয়ার পরামর্শ দেন। ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক বেগম মোছা. কামরুন্নাহারের আদালত আলোচিত এ মামলার রায় দেন। আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদসহ পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বিচারক তাদের খালাস দেন।

রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক বলেন, মামলার দুই ভিকটিম আগে থেকেই সেক্সুয়াল রিলেশনে অভ্যস্ত। তারা স্বেচ্ছায় হোটেলে গেছেন। সেখানে গিয়ে সুইমিং করেছেন। ঘটনার ৩৮ দিন পর তারা বললেন, ‘আমরা ধর্ষণের শিকার হয়েছি’। অহেতুক তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রভাবিত হয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছেন। এতে আদালতের ৯৪ কার্যদিবস নষ্ট হয়েছে। এরপর থেকে পুলিশকে এ বিষয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছি। এ ছাড়া এরপর থেকে ধর্ষণের ৭২ ঘণ্টা পর যদি কেউ মামলা করতে যায়- তা না নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি।

বিচারপতির এমন বক্তব্য অসাংবিধানিক বলে শনিবার প্রতিক্রিয়া জানান আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। একইসঙ্গে ওই বিচারকের পাওয়ার সিজ (ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া) করতে প্রধান বিচারপতিকে চিঠি দেওয়া হবেও বলে জানান তিনি।

আইনমন্ত্রী আরও বলেছেন, অবজারভেশনে তিনি (আইনজীবী) যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা সম্পূর্ণ বেআইনি ও অসাংবিধানিক। বিচারক হিসেবে তার দায়িত্ব পালন নিয়ে যেন ব্যবস্থা নেওয়া হয়, সেজন্য আগামীকাল প্রধান বিচারপতিকে একটি চিঠি লিখছি।

আগামীনিউজ/বুরহান

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে